মনোজ টিগ্গা। নিজস্ব চিত্র
ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাড়াতে এ বার সিআরপিএফ চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করার কথা ভাবছেন মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। আলিপুরদুয়ার জেলায় বিজেপি-র এই একমাত্র বিধায়কের অভিযোগ, জেলা পুলিশের মাধ্যমে রাজ্যের কাছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী বাড়ানোর আর্জি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। আর সে জন্যই দলের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের পরামর্শ মেনে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সিআরপিএফ চাওয়ার কথা ভেবেছেন তিনি। তার আগে শেষবারের জন্য আরও একবার তার আর্জির বিষয়টি মনে করিয়ে দিতে জেলার পুলিশকর্তাদের কাছে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি খুন হন কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। যার জেরে লোকসভা নির্বাচনের আগে দুশ্চিন্তা ঢুকে পড়ে তৃণমূলের অন্দরে। যে দুশ্চিন্তার আঁচ আসে অসম সীমানা লাগোয়া আলিপুরদুয়ারেও। তৃণমূল সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার জেলায় শাসক দলের কোনও কোনও নেতার জন্য নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়েছে, কোনও কোনও নেতার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাড়ানোর কথাও ভাবছেন পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা।
কিন্তু তাঁদের দলের নেতাদের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ নিষ্ক্রিয় বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি। কৃষ্ণগঞ্জের ঘটনার পরই মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা জানিয়েছিলেন, এক জনের জায়গায় দু’জন দেহরক্ষী চেয়ে প্রায় এক বছর আগে জেলা পুলিশ সুপারের মাধ্যমে রাজ্যকে আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই ব্যবস্থা হয়নি। রবিবার মনোজবাবু বলেন, “জেলায় বিজেপির সংগঠন যে ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করে প্রতিনিয়ত আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের তৃণমূলের আক্রমণ কিংবা হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। এই অবস্থায় পুলিশ আমার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী বৃদ্ধি না করায় দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতারা সিআরপিএফ-এর জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করতে বলেছেন। এখন সেটাই করব। তবে তার আগে শেষ বারের জন্য এক বছর আগের আর্জিটি পুলিশ কর্তাদের একবার মনে করিয়ে চিঠি দেব।” বিষয়টি নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার সুনীল যাদবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এসএমএস-এরও উত্তর দেননি। তবে জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, জেলায় কোন বিধায়ক বা নেতা কী ধরনের নিরাপত্তা পাবেন, সেটা ডিরেক্টর সিকিউরিটি বা ডিআইবি খতিয়ে দেখে ঠিক করে। এবং সেই অনুযায়ী সবার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে।
তবে রাজ্যকে পাশ কাটিয়ে রাজ্যের এক বিধায়ক কী করে কেন্দ্রের কাছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য সিআরপিএফ চাওয়ার কথা বলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন জেলার তৃণমূল নেতারা। দলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মার অভিযোগ, “আসলে লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজের ফ্যাশন বাড়াতেই এমনটা করতে চাইছেন বিজেপি বিধায়ক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy