সিপিএম নেতা লুৎফুরের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল ডালখোলায়। —নিজস্ব চিত্র।
ফের বাম নেতার দেহ মিলল উত্তর দিনাজপুরে। আজ ভোরে ডালখোলা থানার হেমনপুরের বাঁশতলা খালে উত্তর দিনাজপুরের সিপিএম নেতা লুৎফুর হকের রক্তাক্ত দেহ পাওয়া যায়।স্থানীয় বাসিন্দারা তা দেখতে পাওয়ার পরেই গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ডালখোলা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান ছিলেন সিপিএমের ওই নেতা। আজ সকালে পুলিশ লুতফরের দেহ উদ্ধার করতে এলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ কুকুর-সহ তদন্ত ও এলাকায় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তৃপক্ষের সরাসরি উপস্থিতির দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই নানা বিক্ষিপ্ত ঘটনায়, রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে উত্তর দিনাজপুর। এর আগে ওই এলাকায় আরও দু’টি খুনের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ এখনও তার কিনারা করে উঠতে পারেনি।
আরও পড়ুন
ফের উত্তর দিনাজপুরে গুলিবিদ্ধ এক ছাত্র
রাজপথে দফায় দফায় ধস্তাধস্তি পুলিশ-বামে
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অল্প ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন লুতফর। যদিও সাংসদ মহম্মদ সেলিমের দাবি, জোর করেই হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল লুৎফুরের মতো জনপ্রিয় নেতাকে। তাঁর মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ সাংসদ জানান, ‘‘উত্তর দিনাজপুর জেলায় পরপর খুন হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকে আজ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি খুন হয়েছে এই জেলায়। অথচ পুলিশ কিছুতেই অপরাধীকে খুঁজে পাচ্ছে না। প্রতি বারই বলছে, দুষ্কৃতীরা করেছে, কিন্তু এই দুষ্কৃতীরা কারা, তা পুলিশ খুঁজেই পাচ্ছে না! এ ক্ষেত্রেও সকাল থেকে দেহ নিয়ে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ চালালেও এলাকায় দেখা নেই কোনও পদস্থ পুলিশ অফিসারের।’’
এ দিকে উত্তর দিনাজপুর জেলার পদস্থ এক পুলিশ অফিসারের দাবি, মৃতদেহের মুখে-নাকে-কানে রক্তের দাগ আছে। তবে এটা খুন না অন্য কোনও ভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে দেহ। রিপোর্ট এলে তবেই বোঝা যাবে।
যদিও দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে এলাকাবাসীর সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে স্থানীয় বাম নেতৃত্বও।
(পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার খবর এবং বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলায় খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের রাজ্য বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy