ফাইল চিত্র।
বিচারপতি নিয়োগের দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পাঠানোর পরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশ। বুধবার সকাল ১১টা থেকে ওই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়েছে হাইকোর্টের ‘বি’ গেটের পাশে। মঙ্গলবার কমবেশি ৪০০ আইনজীবীর সই সংবলিত একটি স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টে ৭৬ জন বিচারপতি থাকার কথা হলেও বর্তমানে রয়েছেন ৩৩ জন। চলতি মাসে এবং আগামী মাসে আরও ৪ জন বিচারপতি অবসর নেবেন। এখনই অন্তত ৫০ জন বিচারপতি নিয়োগ না-হলে জমে থাকা কয়েক লক্ষ মামলার নিষ্পত্তি কী ভাবে হবে, কেউ জানেন না। কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামে ৭ জন বিচারপতির প্যানেল পাঠানো হয়েছিল। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে অগ্রগতি হয়েছে। আইন মন্ত্রক তাদের বক্তব্য প্রধান বিচারপতিকে জানিয়ে দিয়েছে।
এ দিন অবস্থান বিক্ষোভে অংশ নিয়ে প্রবীণ আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, কলকাতা হাইকোর্টে পর্যাপ্ত বিচারপতি নিয়োগ না-করে এ রাজ্যে বিচার ব্যবস্থাকে অচল করার পথে হাঁটতে চাইছে কেন্দ্র। বিচারপতি নিয়োগের প্রশ্নে চুপ করে থেকে বর্তমান রাজ্য সরকারও পরোক্ষে কেন্দ্রের পাশেই থাকছে।
আরও পড়ুন: কে ঢুকছে পাড়ায়, খোঁজ দেবে গোয়েন্দা-বন্ধু
বিকাশবাবুর দাবি, সাম্প্রতিক কালে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের একাধিক সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিভিন্ন রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সে জন্যই বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছে দুই সরকার। বিকাশবাবুর কথায়, ‘‘বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রের প্রতি সরব না-হয়ে রাজ্য সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বানচাল করার চেষ্টা করছে।’’ এই অভিযোগ মানতে রাজি না-হলেও মন্ত্রক সূত্রের যুক্তি, বিচার বিভাগে শূন্যপদ নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতিরা যে ভাবে কেন্দ্রকে দুষছেন, আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ তাতে ক্ষুব্ধ। তবে আইনজীবীদের আন্দোলনের অধিকার রয়েছে বলে মন্ত্রী মনে করেন।
এ দিন বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় জানান, অবিলম্বে হাইকোর্টে পর্যাপ্ত বিচারপতি নিয়োগ না-হলে আইনজীবীদের একটি অংশ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে ধর্নায় বসবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy