Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
West Bengal News

খড়দহ ‘গণধর্ষণ’: মোমবাতি মিছিলে বিজেপি, হাজরায় ধুন্ধুমার

মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়ার রাস্তায় দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়দের মিছিল আটকানোয় বিজেপির অবস্থান বিক্ষোভ, পুলিশের বলপ্রয়োগ, দু’পক্ষের ধস্তাধস্তিতে ছড়াল তুমুল উত্তেজনা।

খড়দহে বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে ‘গণধর্ষণ’ কাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির মিছিল ঘিরে সোমবার বিকেলে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাজরা মোড় চত্বর।

খড়দহে বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে ‘গণধর্ষণ’ কাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির মিছিল ঘিরে সোমবার বিকেলে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাজরা মোড় চত্বর।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ১৯:৩০
Share: Save:

খড়দহে বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে ‘গণধর্ষণ’ কাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির মিছিল ঘিরে সোমবার বিকেলে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাজরা মোড় চত্বর। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়ার রাস্তায় দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়দের মিছিল আটকানোয় বিজেপির অবস্থান বিক্ষোভ, পুলিশের বলপ্রয়োগ, দু’পক্ষের ধস্তাধস্তিতে ছড়াল তুমুল উত্তেজনা। তার জেরে দীর্ঘক্ষণ কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে হাজরা মোড়। শেষে বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ।

শুরু হয়েছিল নেতাজি ভবন মেট্রো স্টেশন থেকে। খড়দহে বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে ‘গণধর্ষণ’ কাণ্ডের এর প্রতিবাদে এ দিন প্রতীকী মিছিলের ডাক দেয় বিজেপির মহিলা মোর্চা। কর্মসূচি ছিল, মোমবাতি মিছিল করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ি পর্যন্ত গিয়ে ওই মিছিল শেষ হবে। শামিল হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মহিলা মোর্চার রাজ্য সভাপতি লকেট চট্টোপাধ্যায়, দুই রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, দেবশ্রী চৌধুরীর মতো নেতানেত্রীরা। বিকেল ৫টা নাগাদ মিছিল শুরু হয়।

প্রস্তুত ছিল পুলিশও। হাজরা মোড় থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাওয়ার রাস্তা আগে থেকেই ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পাঁচটা ৪০ মিনিট নাগাদ বিজেপির মিছিল হাজরা মোড় পৌঁছতেই পুলিশ আটকে দেয়। নাছোড় বিজেপি নেতা-কর্মীরাও হাজরা মোড়েই অবস্থানে বসে পড়েন। আগুন জ্বালিয়ে শুরু হয় স্লোগান-বিক্ষোভ। দিলীপ, লকেটরা সেখানেই একটি মিনি ট্রাকের উপর দাঁড়িয়ে ভাষণ দিতে শুরু করেন।

প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মহিলা মোর্চার রাজ্য সভাপতি লকেট চট্টোপাধ্যায়, দুই রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, দেবশ্রী চৌধুরীর মতো নেতানেত্রীরা।

এই পরিস্থিতিতে পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে যায় হাজরা মোড়ের চারটি রাস্তাই। তার মধ্যেই দিলীপ ঘোষ বলতে শুরু করেন, ‘‘রাস্তায় বেরোলেই দেখতে পাই, ‘এগিয়ে বাংলা’। কীসে এগিয়ে বাংলা? বুঝতে পারি, ধর্ষণে এগিয়ে বাংলা, নারী-শিশু পাচারে এগিয়ে বাংলা।’’ রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়ও।

লকেট চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতারও করে পুলিশ।

কিছুক্ষণ এই পরিস্থিতি চলার পরই অবস্থান তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করতে শুরু করে। তখনই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। পুলিশ বলপ্রয়োগ করতে শুরু করে। হালকা লাঠিচার্জ করা হয় বলেও বিজেপির অভিযোগ। বেশ কয়েকটি পুলিশ ভ্যানে তুলে দেওয়া হয় বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের। তখন লকেট ওই মিনি ট্রাক থেকে নেমে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পরও পুলিশ ভ্যান আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা।

আরও পড়ুন: বীরভূমের বাইরেও ‘কেষ্ট দাওয়াই’-এর ভাবনা? বড় দায়িত্ব পাচ্ছেন অনুব্রত

আরও পড়ুন: স্ত্রীকে ফেসবুকে ‘অশালীন’ মন্তব্য, থানায় ঢুকে পুলিশের সামনেই যুবককে মার জেলাশাসকের

তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের গ্রেফতার করে নিয়ে যেতে সক্ষম হয় পুলিশ। সন্ধে সাড়ে ৬টার পর থেকে ধীরে ধীরে যান চলাচল শুরু হয়।

(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া -পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবরআমাদের রাজ্য বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE