প্রতীকী ছবি।
স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, চলতি মাসে বন্ধ থাকবে স্কুল, কলেজ। পরিস্থিতির উন্নতি হলে সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষক দিবসের পর স্কুল খোলার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করা হবে। তবে এরই মধ্যে নিয়ম ভেঙে বুধবার ক্লাস হল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের একটি স্কুলে।
হাটসড়বেড়িয়া হাইস্কুলে এ দিন দশম শ্রেণির ক্লাস হয়েছে। স্কুল সূত্রের খবর, দশম শ্রেণির মোট পড়ুয়ার সংখ্যা দেড়শো জন। তার মধ্যে এ দিন ৫২ জন হাজির হয়েছিল স্কুলে। ৩৭ জন শিক্ষকের মধ্যে এসেছিলেন ২৫ জন। তিন ঘণ্টার ক্লাসে ছাত্রছাত্রীদের বিজ্ঞান ও ইংরেজি পড়ানো হয়েছে। কেন নিয়ম ভেঙে ক্লাস শুরু হল? স্কুলের প্রধান শিক্ষক
বৃন্দাবন ঘটক বলেন, “অভিভাবক এবং ছাত্রছাত্রীরা সকলে অনুরোধ করেছিলেন। তাই দশম শ্রেণির ক্লাস চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যায় কী আছে?”
করোনা আক্রান্তের নিরিখে জেলায় প্রথম সারিতে রয়েছে ঘাটাল মহকুমা। সেই মহকুমারই একটি স্কুলে নিয়ম ভেঙে ক্লাস শুরু হওয়ায় হতবাক জেলা প্রশাসন। ক্ষুব্ধ জেলা শিক্ষা দফতরও। জেলাশাসক রশ্মি কমল বলেন, “এখন সরকারি ভাবে স্কুল বন্ধ। সেখানে নিয়ম ভেঙে কেন ক্লাস চালু হল, খোঁজ নেব।” জেলা স্কুল পরিদর্শক চাপেশ্বর সর্দারের কথায়, “স্কুল কর্তৃপক্ষকে ক্লাস বন্ধ করতে বলা হয়েছে। উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।”
এ দিন স্কুলের দু’টি হলঘরে পড়ুয়ারা বসেছিল। প্রত্যেক বেঞ্চে একজন পড়ুয়া ছিল। ক্লাসে হাত জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা ছিল। সবার মুখে মাস্কও ছিল। এক ছাত্রের কথায়, “মাস্ক ছিল। তবে ক্লাসের সময় অনেকে মাস্ক খুলে ফেলেছিল।’’
স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, পড়ুয়ারা পিছিয়ে পড়ছে। তাই তাদের কথা ভেবে, তাদেরই অনুরোধে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক অবশ্য বলছেন, “শিক্ষকেরা আসতে বললে একজন ছাত্র না বলবে কোন সাহসে? স্কুল কর্তৃপক্ষকের বোঝা উচিত ছিল। তবে আর পাঠাব না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy