ছ’বছরের মিঠি বড্ড লাজুক। বড়দের সঙ্গে তো বটেই স্কুলে বন্ধুদের সঙ্গেও মিশতে পারে না সে। নিজেকে কেমন গুটিয়ে রাখে। তাকে নিয়ে ভাবনার অন্ত নেই বাবা-মায়ের। শিশু মনোবিদ হিরণ্ময় সাহার মতে, সলজ্জ ভাব মনুষ্য চরিত্রের একটা বৈশিষ্ট্য। প্রথম থেকে একে নেতিবাচক হিসেবে দেখাটা ঠিক নয়। তবে যদি দেখা যায়, শিশু কারও সঙ্গেই মিশতে পারছে না, বোঝাতে পারছে না নিজের কথা, তা হলে বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার।
লাজুক, ভীরু স্বভাবের সন্তানদের নিয়ে বাবা-মা গোড়ায় খুব নিশ্চিন্ত থাকেন। কারণ, তারা হুটোপাটি করে না। কথা শোনে। কিন্তু এই অতিরিক্ত বাধ্য ভাবই পরবর্তী কালে সমস্যার হতে পারে।
• সন্তান যদি সব সময় নিজেকে ঘরবন্দি করে রাখে, খেলতে যেতে না চায়, স্কুলে যেতে না চায়, তার যদি কোনও বন্ধু না থাকে তা হলে কিন্তু বিষয়টা চিন্তার।
• সন্তানের সঙ্গে কথা বলে বুঝুন সে হীনম্মন্যতার শিকার কিনা। তার মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলাই এ ক্ষেত্রে প্রথম করণীয়।
• সন্তানকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে নিয়ে যান। নিয়ম করে ওকে নিয়ে বাইরে বেরোন। সিনেমা দেখতে যান। তেমন হলে ওর কোনও বন্ধুকে বাড়িতেও ডেকে নিতে পারেন।
• আপনার সন্তান কোন ধরনের সঙ্গ পছন্দ করে সেটা বুঝুন। ওকে তেমন পরিবেশে রাখার চেষ্টা করুন।
• লাজুক স্বভাবের শিশুরা সাধারণত অনেকের মধ্যে গুটিয়ে থাকে। তবে কোনও এক জনের সঙ্গে কথাবার্তায় এদের অনেকেই খুব সপ্রতিভ হয়। ওর সঙ্গে তাই নিয়ম করে মুখোমুখি বসুন। নানা বিষয়ে কথা বলুন।
• বহির্বিশ্বের নানা জিনিস সম্পর্কে আপনার শিশুকে অবহিত করার দায়িত্ব কিন্তু আপনারই। এত কিছুর মধ্যে কোনও না কোনও বিষয় সন্তানের পছন্দ হবেই। তা নিয়েই ওর সঙ্গে চর্চা করুন। দেখবেন ও নিজের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসছে।
এ ক্ষেত্রে অকারণে সন্তানকে বকাঝকা করবেন না। সমবয়সী কারও তুলনাও টানবেন না। হিতে বিপরীত হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy