প্রতীকী ছবি।
নতুন গাড়ি কেনার এক বছরের মধ্যেই ইঞ্জিন বার বার বিকল হওয়ায় পাঁচ বার সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যেতে হয়েছিল। কিন্তু তাতেও সুরাহা হয়নি। বিকল্প নতুন গাড়ি দেওয়ার আবেদন জানিয়ে এবং বার বার শো-রুমে গিয়েও কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করেন অভিযোগকারী। নদিয়া জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালত বছর দুয়েক আগে নির্দেশ দেয়, ক্ষতিপূরণ বাবদ ওই বিকল গাড়ির পুরো দাম ফেরত দিতে হবে মামলাকারীকে। দিতে হবে আরও ১৫ হাজার টাকা। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করে। রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালত সম্প্রতি জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের রায়ই বহাল রেখেছে।
শ্যামসুন্দর সেন নামে নবদ্বীপের এক ব্যবসায়ী ২০১০ সালে বহরমপুরের এক শো-রুম থেকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকায় একটি গাড়ি কেনেন। শ্যামসুন্দরবাবু বলেন, ‘‘প্রথম দিনেই গাড়িটি চালাতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। এক বছরের মধ্যেই পাঁচ বার ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যেতে হয়। তাতেও সুরাহা না-হওয়ায় বিকল্প নতুন গাড়ির দাবিতে ডিলারের কাছে যাই। কিন্তু কাজ হয়নি।’’ ২০১১ সালে জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা, ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটরের বিরুদ্ধে মামলা করেন শ্যামসুন্দরবাবু।
২০১৭ সালের ৩০ মে নদিয়া ক্রেতা সুরক্ষা আদালত নির্দেশ দেয়, গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা, ডিলার এবং ডিস্ট্রিবিউটরকে বিকল্প নতুন গাড়ি ফিরিয়ে দিতে হবে অথবা গাড়ির দাম বাবদ পুরো টাকাটাই ফেরত দিতে হবে। একই সঙ্গে ক্ষতিপূরণ এবং মামলার খরচ বাবদ অতিরিক্ত পনেরো হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতও সেই রায় বহাল রেখেছে।
গাড়ি সংস্থার আইনজীবী শঙ্কর মুখোপাধ্যায় জানান, তাঁরা জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে যাচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy