ছবি: এএফপি।
ভয়াবহ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অত্যন্ত জরুরি কৌশল হল ভিড় এড়িয়ে চলা। অথচ এই দুঃসময়ে খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই জনতা হামলে পড়ছে রেশন দোকানে। কিন্তু পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখতে না-পারলে এই রোগের সংক্রমণ এড়ানো কঠিন। এই অবস্থায় ভিড় ঠেকাতে সব রেশন দোকানকে উপভোক্তাদের সময় লেখা স্লিপ বা চিরকুট বিলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
করোনা সংক্রমণের আবহে আপাতত ছ’মাসের জন্য চার শ্রেণির উপভোক্তাদের নিখরচায় খাদ্যশস্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। ১ এপ্রিল থেকে রাজ্যের প্রায় ২০ হাজার ৫০০ রেশন দোকানে খাদ্যশস্য বিলির কাজ চলছে। তৃণমূল সরকারের সিদ্ধান্ত, চলতি পরিস্থিতিতে রেশন কার্ড না-থাকলেও খাদ্যশস্য থেকে কাউকে বঞ্চিত করা হবে না। সেই নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পেতে ভিড় জমছে রেশন দোকানে। নিম্ন মানের জিনিসপত্র দেওয়া এবং ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগে বিক্ষিপ্ত ভাবে বিক্ষোভও হয়েছে সারা রাজ্যের বিভিন্ন রেশন দোকানে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে কোনও কোনও রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে।
খাদ্য দফতর সূত্রে দাবি করা হয়েছে, প্রথম পাঁচ দিনে রেশনে আনুমানিক ৩০ শতাংশ উপভোক্তাকে খাদ্যশস্য দেওয়া গিয়েছে। কোনও কোনও জেলায় ৩৫-৪০ শতাংশ মানুষ খাদ্যশস্য পেয়ে গিয়েছেন। এখন রবিবার-সহ সপ্তাহে প্রতিদিন রেশন দোকান খোলা থাকছে। দু’বেলা দোকানগুলি থেকে রেশন বিলির কাজ চলছে। খাদ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, লকডাউন বিধি মেনেই মানুষকে পরস্পরের মধ্যে নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হচ্ছে। অযথা ভিড় এড়াতে প্রতিটি রেশন দোকানকে উপভোক্তাদের সময় লেখা স্লিপ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক কর্তার কথায়, “রেশন দোকান এখন দু’বেলাই খোলা। তাই দোকানে আসা উপভোক্তাকে স্লিপের মাধ্যমে তাঁর খাদ্যশস্য পাওয়ার সময় জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশ মানা হচ্ছে কি না, তা দেখার ভার দেওয়া হয়েছে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকে।”
আরও পড়ুন: ইউজিসির টাকা ত্রাণে! দিলীপের মন্তব্যে বিতর্ক
যাঁদের রেশন কার্ড নেই, তাঁদের খাদ্যশস্য পেতে অসুবিধা হওয়ায় বিভিন্ন দোকানে গোলমাল হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রেশন কার্ডের বিকল্প ফুড ‘কুপন’ বিলি করে সব উপভোক্তাকেই খাদ্যশস্য দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য সরকার। খাদ্য দফতরের নির্দেশে জেলাশাসকের সই করা ফুড কুপন বিলির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। খাদ্যকর্তাদের আশা, ১০ এপ্রিলের মধ্যে কুপন বিলি শেষ হলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের খাদ্যশস্য দেওয়া হবে।
খাদ্যকর্তাদের দাবি, বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে এ-পর্যন্ত অন্তত ২০ জন রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। খাদ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, “প্রতিদিন রাত ৮টা পর্যন্ত খাদ্য দফতরে অভিযোগ গ্রহণের ব্যবস্থা চালু থাকছে। জেলা প্রশাসনগুলি রেশন বিলির ভিডিয়ো পাঠাচ্ছে খাদ্য দফতরে। তার ভিত্তিতে প্রয়োজনে চটজলদি পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy