প্রতীকী ছবি।
লকডাউন পরিস্থিতিতে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরাহা দিতে পর্যায়ক্রমে তাঁদের কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। তাঁদের বিরুদ্ধে অমানবিক আচরণ করলে কড়া আইনি পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে প্রশাসন। একই সঙ্গে পুলিশের শিফ্ট-এর সময় কিছুটা কমানো যায় কি না, তা ভেবে দেখার অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। চলতি পরিস্থিতিতে আগেই মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছিল রাজ্য। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দেন, নির্দেশ না-মানলে ব্যবস্থা নিতে পারে পুলিশ।
গত এক মাসের বেশি সময় ধরে এক নাগাড়ে কাজ করে যেতে হচ্ছে করোনা-চিকিৎসার সঙ্গে যুক্তদের। লকডাউন বলবৎ করতে টানা কাজ করতে হচ্ছে পুলিশকর্মীদেরও। ফলে ক্রমশই ক্লান্ত-অবসন্ন হয়ে পড়ছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন নবান্নে জানান, যে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা সাত দিন টানা কাজ করবেন, তাঁরা পরের সাত দিন ছুটি পাবেন। তখন অন্যেরা কাজ করবেন। এ ভাবে পর্যায়ক্রমে চলবে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘পুলিশকর্মীদের ডে-নাইট যে শিফ্ট রয়েছে, তার সময়সীমা ৬ ঘণ্টা করা যায় কি না, তা পুলিশকে ভেবে দেখতে বলব।’’ ২০ এপ্রিল থেকে উপসচিব এবং তার উপরের পদের অফিসাররা এক দিন অন্তর কাজ করবেন।
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানান, বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে অমানবিক আচরণের খবর আসছে। রানাঘাটে পরিজনের সঙ্গে দেখা করার জন্যও এক নার্সকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুব্ধ। সরকারি ফ্ল্যাটে ওই নার্সের থাকার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘আপনার সমস্যা হলে ইনিই বাঁচাবেন। করোনায় মারা গেলেও মৃতদেহ থেকে জীবাণু ছড়ায় না। এটা বিশেষজ্ঞেরা বলছেন। সরকার চাইলে এমন অমানবিক ঘটনায় জেলে ভরতে পারে। ছয়-আট মাস জেলে রাখতে পারে। মা-বোনেরা এগিয়ে আসুন। গ্রামে গ্রামে ‘বঙ্গজননী’ গড়ে তুলুন। রাজনীতির বদলে মানবিকতা করি।’’
আরও পড়ুন: কলকাতা-সহ ৬ মহানগরই করোনার হটস্পট, চিহ্নিত সারা দেশের ১৭০ জেলা
আরও পড়ুন: লকডাউনে কোথায় ছাড়, কোথায় নয়, দেখে নিন
ইতিমধ্যেই রাজ্যে মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মাস্ক না-পরে থাকলে পুলিশ বাড়ি পাঠিয়ে দেবে। ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে।’’
কেন্দ্রের কাছে একাধিক বার আর্থিক প্যাকেজের দাবি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী জানান, কেন্দ্র কী পদক্ষেপ করে তার অপেক্ষায় রয়েছে রাজ্য। চলতি পরিস্থিতিতে করোনা-আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে রাজনীতি না-করার আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আগের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সামনেই বলেছিলাম, আমাদের অডিট-বিশেষজ্ঞ কমিটি রয়েছে। তাদের কাজে আমরা হস্তক্ষেপ করি না। কোভিড-মৃত্যু কি না, তা তারা বিচার করে। কেন্দ্র তো বলেই খালাস। রাজ্যকে সব করতে হয়। দিল্লিতে যারা এ সব করছে, তাদের বলব শুভ বুদ্ধির উদয় হোক, শুভ নববর্ষ।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy