—ফাইল চিত্র।
প্রথাগত আন্দোলনের পাশাপাশিই করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে নতুন ভূমিকায় মানুষের কাছে পৌঁছতে চাইছে সিপিএম। নানা এলাকায় অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করাতে শিবির করছে তারা। সেই সঙ্গেই করোনা থেকে সেরে ওঠা রোগীদের প্লাজমা দেওয়ার জন্য সহায়তার কাজেও এগিয়ে আসছে দলের যুব সংগঠন।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র দাবি করেছেন, আরও বেশি সংখ্যায় অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করাতে পারলে কোন এলাকায় করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কেমন তা বোঝা যাবে এবং সেইমতো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে। দলের রাজ্য কমিটির সদস্যদের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করানোও হয়েছে। এ বার সাধারণ মানুষের জন্যও সেই পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবে করাতে উদ্যোগী হয়েছে তারা। কোথাও লোকাল, কোথাও এরিয়া কমিটির আয়োজনে শিবির করা হচ্ছে। সেখানে গিয়ে কেউ নাম লিখিয়ে রক্তের নমুনা দিয়ে আসতে পারেন। পরীক্ষার রিপোর্ট এলে শিবিরের উদ্যোক্তারাই তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। যাদবপুরে যেমন সিপিএমের এরিয়া কমিটি এই ধরনের শিবির করছে একটি বেসরকারি ল্যাবের সহযোগিতায়। চেন্নাইয়ের একটি সংস্থার সঙ্গেও ব্যবস্থাপনা রেখেও এমন শিবির করা হচ্ছে।
কোভিড-১৯ থেকে যাঁরা সেরে উঠেছেন, তাঁদের শরীর থেকে সংগৃহীত রক্ত বাঁচাতে পারে অন্যদের— এই প্রচারকে সামনে রেখে প্লাজমা দান করার জন্য সংশ্লিষ্ট মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছে কলকাতার ডিওয়াইএফআই। সংগঠন সূত্রের বক্তব্য, কলকাতায় ১৫ জুলাই পর্যন্ত যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। যাঁরা সেরে উঠেছেন, যুব সংগঠন থেকেই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। সংগঠনের তরফেও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর এবং মেল আইডি দিয়ে বলা হচ্ছে, উৎসাহী মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় যোগাযোগ তারা করিয়ে দেবে।
ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক এবং সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য সায়নদীপ মিত্রের বক্তব্য, ‘‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নানা ভাবে আমরা সামাজিক দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছি। আমপান-এ অজস্র গাছ পড়ে যাওয়ার পরে কলকাতায় ‘গ্রিন গার্ডিয়ান’ কর্মসূচি নিয়ে বাড়িতে বাড়িতে গাছ দিয়ে প্রতিপালনের অঙ্গীকার করা হয়েছে। তেমনই করোনা পরিস্থিতিতে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা এবং প্লাজমা দেওয়ার কাজে আমরা মানুষকে সহায়তার চেষ্টা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy