শান্তিপুরে শোকের ছায়া মৃতদের পরিবারে। নিজস্ব চিত্র।
নদিয়ার শান্তিপুরে বিষ মদ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখনও পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বিষ মদে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ২৮ জন। তাঁদের কলকাতার সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা।
বিষ মদ কাণ্ডে চারজন গ্রেফতার হলেও, শান্তিপুরে কোথা থেকে বিষ মদ এসে ছিল, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি সিআইডি।
যদিও স্থানীয় সূত্রে খবর, পূর্ব বর্ধমানের কালনা থেকে নদীপথে শান্তিপুরে আসত চোলাই। কালনায় নদীর চরের ভাটিতে চোলাই তৈরি করা হত। তার পর সেখান থেকে রাতের অন্ধকারে শান্তিপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হত। তবে যে চোলাই খেয়ে এত জনের মৃত্যু হল, তা কোথা থেকে এসেছে, জানা যায়নি। নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছে ল্যাবরেটরিতে।
আরও পড়ুন: তিন বার ধরা পড়েও বেপরোয়া চোলাই-চাঁইরা
নজরদারির অভাব যে রয়েছে, বৃহস্পতিবার বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠকে মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সারা বছরই নজর রাখতে হবে। ঘটনা ঘটে গেলে, তার পর গেলাম এ সব চলবে না।’’ তিনি রাজ্য পুলিশের ডিজি-র উদ্দেশে বলেন, ‘‘বিহার-ঝাড়খণ্ডের সীমানায় ৩৬৫ দিন নজর রাখার ব্যবস্থা করুন।’’
আরও পড়ুন: শিয়ালদহ স্টেশনে স্মার্টফোন থেকেই কাটা যাবে লোকাল ট্রেনের টিকিট!
এক দিকে যখন মুখ্যমন্ত্রী ধমক দিচ্ছেন। তখন অন্যদিকে পুলিশ লাইনে ‘ক্লোজ’ করা হল শান্তিপুর থানার ওসি সৌরভ চট্টোপাধ্যায়কে। ওই পদে আনা হয়েছে মুকুন্দ চক্রবর্তীকে। মঙ্গলবারই সাসপেন্ড করা হয় আবগারি দফতরের এক জন ওসি, দুই সার্কেল ইন্সপেক্টর-সহ এগারো জন অফিসারকে।
মৃতদের মধ্যে রয়েছেন মূল অভিযুক্ত চন্দন মাহাত। তার বাড়িতেই চোলাই মদের আসর বসেছিল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে বিষ মদ খেয়ে মৃতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য। তার প্রেক্ষিতে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “২ লক্ষ টাকা দিয়ে হাত ধুয়ে নিলাম। এ সব আর চলবে না। আমার আন্দোলনে নামব।”
(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া -পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবরআমাদের রাজ্য বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy