মন্দিরে তখন সন্ধ্যারতির প্রস্তুতি চলছিল। আচমকাই পরপর দু’টি বিকট শব্দ। ভয়ে কেঁপে উঠলেন ভক্তজন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎ জোড়া বিস্ফোরণ বেলুড় মঠে। ভক্ত-দর্শনার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আগে থেকে মঠে পুলিশ মোতায়েন ছিলই। বিস্ফোরণের পরে বিভিন্ন থানা থেকে দ্রুত এসে যায় বিশাল বাহিনী। তাদের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশই আতঙ্কিত দর্শকদের বুঝিয়েসুজিয়ে আশ্বস্ত করে সন্ধ্যারতি দেখতে পাঠায়। খবর পেয়ে মঠ-কর্তৃপক্ষকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঠ-চত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বাড়ানোর আশ্বাস দেন।
মঠ ও পুলিশি সূত্রের খবর, সন্ধ্যার বেলুড় মঠ তখন ভিড়ে জমজমাট। হঠাৎ বিকট শব্দে পরপর দু’টি বিস্ফোরণ। ভয়ে দৌড়োদৌড়ি শুরু হয়ে যায়। শব্দের উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, দর্শনার্থীদের জুতো রাখার ঘরের পাশেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে বিস্ফোরণের তীব্রতায় জুতো-ঘরের জানলার কাচ ভেঙে যায়। কিন্তু কী ফাটলো? নিছকই পটকা, নাকি শক্তিশালী বোমা? গভীর রাত পর্যন্ত ধন্দ কাটেনি। তবে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের ধারণা, চকলেট বোমা জাতীয় কিছু ফাটানো হয়েছে। নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিস্ফোরণস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।
খবর পেয়ে হাওড়া সিটি পুলিশের কর্তারা মঠে পৌঁছে যান। চলে আসেন পুলিশ কমিশনার অজেয় রানাডেও। বিস্ফোরণস্থল পরীক্ষা করেন তাঁরা। কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে বিস্ফোরণ ঘটাল, তা খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এটা কোনও রকম অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বছরখানেক আগেই বেলুড় মঠে চুরির ঘটনার পরে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য চত্বরের মধ্যে একটি ফাঁড়ি বসানো হয়েছে। আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে র্যাফের জওয়ানেরা সেখানে নিত্য পাহারা দেন। নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পেরিয়ে কারা এ দিন বিস্ফোরণ ঘটাল, সেই রহস্য ভেদ করতে তদন্ত চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy