উদ্ধার হওয়া সোনা।—নিজস্ব চিত্র।
হাওড়া এবং কলকাতার তিনটি জায়গায় হানা দিয়ে প্রায় ৯ কেজি সোনা, ১৮ কেজি রুপোর দানা এবং নগদ প্রায় ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতর ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স (ডিআরআই)।
গোয়েন্দাদের দাবি, কলকাতা এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে নেপাল থেকে চোরা পথে ওই সোনা এবং রুপো নিয়ে আসা হয়েছে। ডিআরআই সূত্রে খবর, গোয়েন্দারা প্রথমে খবর পান নেপাল থেকে বিপুল পরিমাণ চোরাই সোনা কলকাতায় আনা হয়েছে। সেই খবরের সূত্র ধরেই তাঁরা হাওড়ার হাট লেনের বাসিন্দা নীলেশ অরবিন্দ পওয়ারের খোঁজ পান। বুধবার গোয়েন্দারা ক্রেতা সেজে তাঁর ফ্ল্যাটে পৌঁছন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভাউ সাহেব পানাসে এবং দত্তাত্রেয় সিন্ডে নামে আরও দুই ব্যবসায়ী।
এর পরেই তিন জনকে জেরা করে গোয়েন্দারা পানাসের হাওড়ার পিকে ব্যানার্জি রোডের বাড়ি এবং দত্তাত্রেয়র কলকাতার গৌর দে লেনের ডেরার হদিশ পান। এই তিন জায়গায় হানা দিয়ে ওই সোনা এবং রুপোর দানার হদিশ মেলে। এই তিন ব্যবসায়ী ওই সোনা এবং রুপো কেনার কোনও নথি দেখাতে পারেননি। গোয়েন্দাদের দাবি, জেরায় তিন জনই স্বীকার করেছেন যে চোরা পথে ওই সোনা এবং রুপো নেপাল থেকে আনা হয়েছিল। গোয়েন্দাদের দাবি, উদ্ধার হওয়া সোনার দাম প্রায় ২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। রুপোর দানার দাম প্রায় চার লাখ টাকা।
নগদ প্রায় ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে
আরও পড়ুন: পাঁচ বছরেই শিল্পপতি, বাজারে কাটছে ১৫০০ কোটি, আড়ালে জঙ্গিদের ফান্ড!
আরও পড়ুন: দুই তৃণমূল সাংসদ ‘কাটমানি’ চেয়েছিলেন! ম্যাথুর মেল সিবিআইয়ের হাতে
ওই তিন ব্যবসায়ীকেই শুল্ক আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডিআরআই গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, এ বছর এপ্রিল মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ২৯০ কেজি চোরাই সোনা পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্য থেকে উদ্ধার করা হয়েছে যার মূল্য প্রায় ৮৮ কোটি টাকা। এই সোনা, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার এবং চিন থেকে চোরা পথে এ দেশে ঢুকেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy