কিছু দিন আগে পর্যন্ত মনে করা হচ্ছিল তিনিই তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে টক্কর দিতে পারেন। অথচ বিজেপি-র সেই নেতা দুধকুমার মণ্ডলকে শুনতে হল ‘গো-ব্যাক।’ দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে কয়েকজন দলীয় কর্মী-সমর্থককে নিয়ে রামপুরহাটে কামারপট্টি মোড় সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ে আসেন বিজেপির প্রাক্তন বীরভূম জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল। সে সময় দলের যুব মোর্চার রামপুরহাট শহর সভাপতি শান্তনু মণ্ডলের নেতৃত্বে হাতে পোস্টার নিয়ে কিছু কর্মী-সমর্থক ‘দুধকুমার মণ্ডল গো-ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন। পোস্টারে লেখা ছিল, দায়িত্বজ্ঞানহীন, কর্তব্যজ্ঞানহীন পদ ছাড়া দুধকুমার মণ্ডল গো-ব্যাক। কার্যালয়ে ঢুকতে না পেরে মোটরবাইকে করে এলাকা ছাড়েন দুধকুমার। ফিরে যাওয়ার সময় তিনি প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি।
শান্তনু মণ্ডল বলেন, ‘‘দুধকুমার মণ্ডল ভোটের আগে সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করেছেন। তাঁর জন্য পুরভোটে বিজেপি-র ফল খারাপ হয়েছে। তিনি এখন পদে নেই। অথচ রামপুরহাটে তাঁর সঙ্গে ইস্তফা দেওয়া কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করতে চাইছেন তিনি। দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আহ্বায়ককে তিনি কিছুই জানাননি।’’ বিজেপি-র জেলা আহ্বায়ক অর্জুন সাহা বলেন, ‘‘দলের পদে না থেকে দুধকুমার মণ্ডল রামপুরহাট পুরসভায় জয়ী চার প্রার্থীর মধ্যে তিন জনকে নিয়ে বৈঠক করতে চেয়েছিলেন। যদি কেউ মনে করেন পদত্যাগ করব, আর সমান্তরাল ভাবে আর একটা বিজেপি করব— তা দল মেনে নেবে না।’’
পরে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে দুধকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘আমি এখনও বিজেপি করি। তাই দলের কিছু কর্মীদের নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে বসতে চেয়েছিলাম। শান্তনু মণ্ডল-সহ আরও কিছু কর্মী গো-ব্যাক বলে চিৎকার করতে থাকেন। তাঁরা দলীয় কার্যালয়কে ব্যক্তিগত সম্পত্তি তৈরি করতে চাইছেন।’’ তিনি বলেন, ‘‘আমি যখন দলের সভাপতি ছিলাম তখন দল আমার জন্য রাজ্যে পাড়ুই-কাণ্ডে মাইলেজ পেয়েছে। আমি কি ভোটের দায়িত্বে ছিলাম, যে শোচনীয় হারের জবাব আমাকে দিতে হবে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy