মাঝারি ভূমিকম্পে নড়ে উঠল অসমের কোকরাঝাড়। আর তার রেশ উত্তরবঙ্গ হয়ে এসে পড়ল কলকাতা পর্যন্ত।
রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৬। বেলা ১০টা ২০ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডে এই কম্পন অনুভূত হয়। স্থায়ী ছিল ২০-৩০ সেকেন্ড। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জি কে দাশ জানিয়েছেন, কোকরাঝাড়ে কম্পনের উৎসস্থল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার গভীরে।
আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কালিম্পং, শিলিগুড়ি, কোচবিহার, মালদহ-সহ উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বেশ ভাল টের পাওয়া গিয়েছে এই কম্পন। ভাল টের পাওয়া গিয়েছে মুর্শিদাবাদেও। অসম, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া কম্পন অনুভূত হয়েছে সিকিম, মেঘালয়, বিহারেও। ভুটান, বাংলাদেশ, মায়ানমারেও টের পাওয়া গিয়েছে কম্পন।
উত্তরবঙ্গের অনেক স্কুলেই ভূমিকম্পের পর ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। তখন সবে অনেকেই স্কুল-কলেজ, অফিসকাছারির জন্য রওনা দিয়েছেন। কেউ বা পৌঁছেও গিয়েছেন গন্তব্যে। এমন সময়ে হঠাৎই কম্পন টের পান মানুষ। আতঙ্কে বহু মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসেন ঘরবাড়ি, অফিস ছেড়ে। কলকাতা আর সল্টলেকেও নানা বহুতলের নীচে জড়ো হতে দেখা যায় অনেককেই। মোবাইলের সংযোগও কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কিছু ক্ষণের জন্য।
আরও পড়ুন
‘আমি তখন পড়ার টেবিলে, আচমকাই তাক থেকে বোতলগুলো পড়ে গেল পরপর’
সেতু ভাঙলে দায় এ বার ইঞ্জিনিয়ারের
নদী আর জলাশয়েও এর প্রভাব স্পষ্ট ছিল। ওই সময় কলকাতায় গঙ্গাবক্ষে লঞ্চও থামিয়ে রাখা হয় কিছু ক্ষণের জন্য। আতঙ্কে তত ক্ষণে বাড়ির বাইরে থাকা মানুষজনের খোঁজ-খবর শুরু করেছেন পরিবার-পরিজনেরা। হাওয়া অফিসের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বুধবারের ভূমিকম্প দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গে বেশি অনুভূতি হয়েছে।
এই ভূকম্পনে তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। তবে আতঙ্কে পালাতে গিয়ে শিলিগুড়িতে সিঁড়ি থেকে পড়ে মাথায় আঘাত লেগে মৃত্যু হয়েছে সম্রাট দাস (২২) নামের এক যুবকের।
এর আগে, গত ২৮ অগস্ট সন্ধ্যায় হুগলিতে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল পাঁচ। হুগলি ছাড়িয়ে কম্পন ছড়িয়ে পড়েছিল দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, কলকাতাতেও। কম্পন টের পাওয়া গিয়েছিল হয়েছে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডেও। তবে কোথাও কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy