—ফাইল চিত্র।
অবসরের পরেও যে সব প্রশাসনিক কর্তাকে কাজে বহাল রেখেছে রাজ্য সরকার, তাঁদের ভোটের কাজ থেকে দূরে রাখতে চায় নির্বাচন কমিশন। নবান্নকে সে কথা জানিয়েও দিয়েছে তারা। কমিশন সূত্রের মতে, সরকারের ‘বিশ্বাসভাজন’দের প্রতি আস্থা রাখতে চাওয়া হচ্ছে না বলেই এমন সিদ্ধান্ত।
অন্য রাজ্যেও কর্মজীবন শেষের পরে যে সব প্রশাসনিক কর্তার মেয়াদ বৃদ্ধি হয়েছে, তাঁদের ভোটের মতো ‘সংবেদনশীল’ বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত রাখতে চায় না কমিশন। ফলে বার্তা যাচ্ছে সব রাজ্যেই। কমিশন সূত্রে বলা হচ্ছে, ‘এক্সটেনশন’ প্রাপ্ত কর্তারা সাধারণত সরকারের ‘আস্থাভাজন’ হন। মেয়াদ বৃদ্ধির ব্যাপারে তাঁরাও সরকারের উপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। এই ধরনের কর্তাদের ভোটের কাজে লাগালে গোটা প্রক্রিয়াকে শাসক দলের পক্ষে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠতে পারে। তাই এই সব অফিসারকে ভোটের কাজে যুক্ত রাখতে চায় না কমিশন।
২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রশাসনিক রদবদল শেষ করার জন্য সব রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। মঙ্গলবার কমিশনের সঙ্গে নবান্নের কর্তাদের যে ভিডিয়ো কনফারেন্স হয়, তাতেও প্রসঙ্গটি ওঠে। সূত্রের খবর, কমিশনের দেওয়া নির্ধারিত সময়সীমার আগেই রাজ্যে অফিসারদের রদবদল প্রক্রিয়া শেষ করবে নবান্ন। পশ্চিমবঙ্গে অশান্তিমুক্ত ভাবে ভোট করানোই তাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে কমিশন। কারণ, এ রাজ্যে সব ভোট ঘিরেই গোলমালের অভিযোগ ওঠে। এ বার উত্তরবঙ্গ লাগোয়া দক্ষিণবঙ্গের কুড়ি-বাইশটি আসনে বাড়তি নজরদারি চালাতে চায় কমিশন। কমিশন সূত্রের মতে, নজরদারি সর্বত্রই থাকে। কিন্তু বড় জায়গায় নজরদারি বাড়ালে অন্য এলাকাও অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকে। তা ছাড়া, বড় এলাকার প্রতি রাজনৈতিক দলগুলির ‘আগ্রাসন’ অনেক বেশি থাকে। সেই কারণেই ওই সব আসনে বাড়তি নজর দিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy