বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডোনেশন এবং লাগামছাড়া ফি ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সক্রিয়তাকে স্বাগত জানিয়েছে শিক্ষাজগতের সঙ্গে যুক্ত প্রায় সকলেই।
আমজনতার একটা বড় অংশও এই উদ্যোগে খুশি।
শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, ‘‘গত ৩০ বছর ধরে শিক্ষা এবং চিকিৎসা এ রাজ্যে খুব লাভজনক ব্যবসা। এতে নিয়ন্ত্রণ থাকা অবশ্যই দরকার। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে স্বাগত জানাচ্ছি।’’ রাজ্যের আইসিএসই স্কুলগুলির সংগঠনের সচিব এবং ‘বরাহনগর সেন্ট্রাল মডেল স্কুলে’র অধ্যক্ষ নবারুণ দে’র বক্তব্য, কোনও স্কুল যদি ডোনেশন নেয় তা হলে অভিভাবক সেই নথি নিয়ে সোজা আদালতে যেতে পারেন। আদালত ওই স্কুল কর্তৃপক্ষকে জেলে পাঠাবে।
আর সরকারও নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতেই পারে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছেন। এটাকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। ‘দ্য বিএসএস’ স্কুলের অধ্যক্ষ সুনীতা সেন বলেন, ‘‘আমরা শিক্ষাকে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে মনে করি না। এটা সেবা। পড়ুয়ারা যাতে সব থেকে ভাল সুযোগগুলি পায়, সেই দিকেই আমাদের নজর থাকে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে বসা নিয়ে সুনীতা দেবী বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে কথা বললে যদি রাজ্যে শিক্ষার কোনও উন্নতি হয়, তা হলে আমরা এই বৈঠককে স্বাগত জানাচ্ছি।’’
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অ্যামিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়ও মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে বসার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। অস্বাভাবিক ডোনেশন এবং চার্জ নেওয়ার যে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী করেছেন, সেই বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় এত বড় যে, ডোনেশন নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। ভর্তির ক্ষেত্রে তাঁরা স্বচ্ছতা বজায় রেখেই চলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy