প্রতীকী ছবি।
অক্টোবরের মাঝামাঝি পুজো হওয়ায় আবহাওয়া অনেকটাই ঠান্ডা হয়ে যাবে। ফলে পুজোর সময় বিদ্যুতের চাহিদা খুব একটা বাড়বে না বলেই মনে করছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। সংস্থা সূত্রে খবর, পুজোর সময় খুব বেশি হলে চাহিদা ৬২০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তা-ও ১৫ অক্টোবর, সোমবার, ষষ্ঠীর দিন ওই চাহিদা উঠলেও ১৬ অক্টোবর, মঙ্গলবার, সপ্তমীর দিন থেকে চাহিদা ফের নামতে শুরু করবে বলে বিদ্যুৎ কর্তারা জানাচ্ছেন।
সাধারণত সপ্তমী থেকে রাজ্যের অধিকাংশ কল-কারখানা-অফিস-দোকান বন্ধ হতে শুরু করে। ফলে পুজোর সময় কলকাতা-সহ সারা রাজ্যেই ওই দিন থেকে বিদ্যুতের চাহিদা কমতে থাকে। সেটা চলে দশমী-একাদশী পর্যন্ত। এ বারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই মনে করছেন বিদ্যুৎ কর্তারা। সেই সঙ্গে অক্টোবরের মাঝে পুজো হওয়ায় আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা হয়ে যাওয়ায় এ বছর কলকাতাতেও চাহিদা খুব একটা বাড়বে না বলে সিইএসসি-ও মনে করছে। গত বছর কলকাতায় পঞ্চমীর দিন বিদ্যুতের চাহিদা সব থেকে বেশি থাকলেও (১৯৪৬ মেগাওয়াট), এ বছর ১৪ অক্টোবর, পঞ্চমীর দিন, রবিবার পড়ে যাওয়ায় শহরের অধিকাংশ অফিস-স্কুল সব বন্ধ থাকবে। ফলে পুজোর মুখে হলেও, বিদ্যুতের চাহিদা খুব একটা বাড়বে না। ফলে সিইএসসি এবং বণ্টন এলাকায় চাহিদা কেবলমাত্র ষষ্ঠীর দিনই যা বাড়বে বলে ধরা হচ্ছে। কারণ ওই দিন পুজোর সঙ্গে অন্যান্য অফিস-কারখানাও খোলা থাকবে।
গত বছর বণ্টন এলাকায় ২৫ হাজার ২১৬টি পুজো বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছিল। এ বছর সংখ্যাটা কিছুটা বাড়বে। তবে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে রাজ্য জুড়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সঙ্গে সকাল ও সন্ধ্যার সময় কিছুটা ঠান্ডা অনুভব হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা ৬১০০-৬৩০০ মেগাওয়াটের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। অক্টোবরের মাঝামাঝি এই আবহাওয়ার খুব একটা পরিবর্তন হবে না বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। যে কারণেই খুব বেশি হলে ৬২০০ মেগাওয়াট চাহিদা উঠবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy