বনগাঁ আদালত চত্বরে সামির। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
এগারো বছর আগে পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে ধৃত লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি শেখ নইম ওরফে সামিরের সাজা ঘোষণা হবে শনিবার। বৃহস্পতিবার বনগাঁ আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক (১) বিচারক বিনয়কুমার পাঠক এ কথা জানান। মঙ্গলবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।
এ দিন সকালে কড়া নিরাপত্তায় ৩৮ বছরের সামিরকে দমদম সেন্ট্রাল জেল থেকে বনগাঁ আদালতে আনা হয়। সরকারি আইনজীবী সমীর দাস জানান, দেশদ্রোহ-সহ ১৫টি ধারায় সামির দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। গত বছর তার তিন সঙ্গীর ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। সেই তিন জন হাইকোর্টে আবেদন করেছে। বিএসএফ ২০০৭ সালের এপ্রিলে পেট্রাপোলে জঙ্গি সন্দেহে ওই চার জনকে পাকড়াও করে। সিআইডি সামিরের কলকাতার আস্তানায় প্রচুর পরিমাণ নাইট্রো-গ্লিসারিন পায়। যা বিস্ফোরণ তৈরির কাজে ব্যবহারের জন্য সে মজুত করেছিল।
এ দিন সামিরের হয়ে কোনও আইনজীবীকে দাঁড়াতে দেখা যায়নি। তার ফাঁসির পক্ষে সওয়াল করে সরকারি আইনজীবী জানান, সামির দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত। সমীরবাবু বলেন, ‘‘ধৃত চার জঙ্গির মধ্যে সামিরই পান্ডা। সে লস্করের আত্মঘাতী বাহিনীর সদস্য। কাশ্মীরের সেনা ছাউনিতে বিস্ফোরণেরও ছক ছিল ওদের।’’
সমীরবাবু জানান, কর্মজীবনের শুরুতে মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের বাসিন্দা সামির ছিল সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তারা চার ভাই। বাকি দু’জন চিকিৎসক, এক জন আইনজীবী। তদন্তে সিআইডি জানতে পারে, ২০০৫ সালে সপরিবারে সৌদি আরবে বেড়াতে যায় সামির। সেখানে ওই জঙ্গি সংগঠনের এক এজেন্টের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেই শুরু। প্রশিক্ষিত জঙ্গিদের এ দেশে ঢোকানোর কাজ করত সামির। এ দেশে ওই জঙ্গিদের ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করে দেওয়ার দায়িত্বও তার ছিল। বিস্ফোরক তৈরিতে সামির বিশেষ পারদর্শী।
হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইডি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy