হয়রানি: হাওড়া স্টেশনে পৌঁছনোর পরে শতাব্দী এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। মঙ্গলবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়মুখী ডাউন শতাব্দী এক্সপ্রেস তখন বর্ধমান পেরিয়ে কর্ডলাইনে পাল্লা রোড এবং মশাগ্রামের মাঝামাঝি। হঠাৎ একটি বাতানুকূল কামরায় ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
রেল সূত্রের খবর, ইঞ্জিনের দিক থেকে তিন নম্বরে থাকা সি-১ বাতানুকূল চেয়ারকার কামরার যাত্রীরা ধোঁয়া দেখতে পান। ধোঁয়ার সঙ্গে পোড়া গন্ধ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য কামরাতেও। অনেক যাত্রীর অনেকের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। আতঙ্কিত যাত্রীরা ওই কামরা ছেড়ে দ্রুত পাশের কামরায় সরে যান। চেন টেনে বিষয়টি চালককে জানানোর চেষ্টা করেন যাত্রীরা। চেন টানার কিছু ক্ষণের মধ্যে ট্রেনটি ১টা ৪০ মিনিটে মশাগ্রাম স্টেশনে থেমে যায়। যাত্রীদের নামিয়ে গার্ড এবং অন্য কর্মীরা মিলে তিন নম্বর কামরাটিকে ট্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন করেন। ৩টে ৪০ মিনিট নাগাদ ক্ষতিগ্রস্ত ওই কামরাটিকে বাদ দিয়েই ট্রেনটি ফের রওনা হয়। যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা করা হয় অন্যান্য কামরায়।
অনেক যাত্রীর মতে, বাতানুকূল কমারার এসি মেশিন থেকে পোড়া ধোঁয়া ছড়িয়ে থাকতে পারে। তবে রেলের আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, চাকায় ব্রেক আটকে গিয়েও এটা ঘটে থাকতে পারে।
এই ঘটনার পরে শতাব্দীর মতো প্রিমিয়াম শ্রেণির ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন যাত্রীদের একাংশ। “কী কারণে এটা ঘটল, তা জানতে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারও গাফিলতি প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে,” বলেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy