ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। ফাইল চিত্র।
কেউ লিখলেন ‘ঈশ্বরচাঁদ বিদ্যাসাগর’। কেউ বললেন, বিদ্যাসাগর সতীদাহ প্রথা রদ করেছিলেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী পালন করতে গিয়ে এমনই সব কাণ্ড বাধাল বিজেপি।
বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী পালন করতে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিংহ পটেল বৃহস্পতিবার কলকাতায় আসেন। বিজেপির রাজ্য দফতরে বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। বিজেপির মিডিয়া সেলের তরফে সেই শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের ছবি পোস্ট করে সঙ্গে লেখা হয়েছে—‘ঈশ্বরচাঁদ বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের ছবি’। এ দিনই কলকাতা প্রেস ক্লাবে ‘খোলা হাওয়া’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘‘বিদ্যাসাগরে দু’শো বছরের জন্মবার্ষিকীতে আমরা খোলা হাওয়া শুরু করলাম। বিদ্যাসাগরের মতো ব্য়ক্তিত্ব, যিনি সতীদাহ প্রথা রদ, বিধবা বিবাহের মতো যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছিলেন, তাঁর জন্মদিনে এই নতুন যাত্রা শুরু করতে পারলাম আমরা, এটাই গর্বের বিষয়।’’
পরে অবশ্য বাবুল টুইটে জানিয়েছেন, রাজা রামমোহন রায় সতীদাহ প্রথা রদ করেছিলেন। তিনি মুখ ফস্কে সেই কৃতিত্ব বিদ্যাসাগরকে দিয়ে ফেলেছেন। টুইটারে বাবুলের মন্তব্য, ‘‘হা হা, আজ একটা ভুল তো করেছি। বিদ্যাসাগর নিয়ে বলবার সময়ে বিধবা বিবাহ বলতে গিয়ে বিধবা বিবাহ তো বলেইছি, তবে তার সাথে সতী প্রথার অবলুপ্তিটাও জুড়ে দিয়েছি...এটাকে বলে মুখ ফস্কে বলা... কত মানুষ কত কিছু লিখছে, বিশেষ করে বাম-ইয়েরা...যদিও রাজা রামমোহন রায় ইতিমধ্যেই আমাকে মাফ করে দিয়ে এসএমএস করেছেন, আশীর্বাদও করেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy