পরেশ অধিকারী। —ফাইল ছবি
দিন কয়েকের টানাপড়েনের পর অবশেষে শাসক দল তৃণমূলে যোগ দিলেন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা পরেশ অধিকারী।
শুক্রবার কলকাতায় তৃণমূল ভবনে পরেশবাবুর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষও। পরেশবাবু বাম নেতা হিসেবে কোচবিহার-সহ গোটা রাজ্যেই পরিচিত ছিলেন। বাম আমলে তিনি বহু বছর বিধায়ক ছিলেন। বামফ্রন্ট সরকারের খাদ্যমন্ত্রীও ছিলেন। বর্তমানে কোচবিহারে ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
তৃণমূলে যোগ দিয়ে পরেশবাবু বলেন, “গোটা দেশে বিভাজনের রাজনীতি চলছে। অসমে এনআরসির নামে যা করা হচ্ছে তাতে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের অনেক মানুষ অসুবিধেয় পড়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকার কোনও তুলনা নেই। এ ছাড়া আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে তিনি তিস্তায় সেতু তৈরি করছেন। সেই উন্নয়ন যজ্ঞেই সামিল হয়েছি।” তৃণমূল নেতারা দাবি করেছেন, পরেশবাবুর যোগদানে দল আরও শক্তিশালী হল।
পরেশবাবু যে তৃণমূলে যেতে পারেন তার আঁচ অবশ্য মিলেছিল। এক সপ্তাহ আগে চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদে দলের বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধানকে সরিয়ে পরেশবাবুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতেই জল্পনা শুরু হয়। তখন অবশ্য ফব-র আইন অমান্য অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পরেশবাবু দাবি করেছিলেন, তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। সেদিন তাঁর পাশে ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অক্ষয় ঠাকুর। পরেশবাবু জানান, যদি দল তাঁকে অনুমতি দেন তাহলে চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব তিনি নিতে পারেন। আজ, শনিবার তা নিয়ে জেলা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। অক্ষয়বাবু অবশ্য জানান, দলবিরোধী কাজের জন্য এ দিন সকালেই পরেশবাবুকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
২০১৬-র বিধানসভা ভোচে তৃণমূল প্রার্থী অর্ঘ্য রায় প্রধানের কাছে কয়েক হাজার ভোটে হেরে যান পরেশবাবু। তবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রেখেছিলেন। পঞ্চায়েত ভোটে জেলায় বামফ্রন্টের ভরাডুবির মধ্যেও মেখলিগঞ্জ ব্লকের নিজতরফ গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে বামফ্রন্ট। তাই ফব কর্মীরা অনেকে বলছেন, পরেশবাবু দল ছেড়ে দেওয়ায় মেখলিগঞ্জ-সহ কোচবিহার জেলাতেই আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ল দল। ক্ষতি হল বামেদেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy