Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

উর্দি শাসনে দু’টুকরো মুর্শিদাবাদ

জঙ্গিপুর মহকুমাকে নিয়ে গঠিত হল জঙ্গিপুর পুলিশ জেলা এবং জেলার বাকি চার মহকুমাকে নিয়ে রইল সাবেক মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলা।

মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার।

মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:৫৭
Share: Save:

জল্পনা ছিল, শেষ পর্যন্ত বছরের শেষ দিনে মুর্শিদাবাদ ভেঙে দু’টি পুলিশ জেলা গড়ার নির্দেশ জারি করল নবান্ন। জঙ্গিপুর মহকুমাকে নিয়ে গঠিত হল জঙ্গিপুর পুলিশ জেলা এবং জেলার বাকি চার মহকুমাকে নিয়ে রইল সাবেক মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার ওই ঘোষণায় জানানো হয়েছে, জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার হচ্ছেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পূর্ব জোনের ডেপুটি কমিশনার অভিষেক গুপ্ত। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার (সদর) অজিত সিং যাদবকে।

মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমারের পদোন্নতি হয়েছে। তাঁকে মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি’র সদর দফতর হচ্ছে বহরমপুরে। মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের মধ্যে জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ, রানাঘাট ও কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলা পড়বে। আজ, বুধবার থেকে নির্দেশ কার্যকরি হবে।

মুর্শিদাবাদের বর্তমান পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলছেন, ‘‘মুর্শিদাবাদ জেলাকে ভেঙে দু’টি পুলিশ জেলা করা হয়েছে। পুলিশ সুপার হিসেবে পোস্টিংও হয়ে গিয়েছে। এ ছাড়া ডিআইজি মুর্শিদাবাদের সদর দফতর কল্যাণীর পরিবর্তে বহরমপুর করা হয়েছে।’’ মুর্শিদাবাদ বড় জেলা। আইন শৃঙ্খলারক্ষা-সহ নানা বিষয়ে পুলিশের সমস্যা হত। এছাড়া পুলিশ সুপারের অফিসে কাজ পড়লে বিশেষ করে জঙ্গিপুর মহকুমার লোকজনের খুবই সমস্যা হত। দীর্ঘদিন থেকে পুলিশ জেলা ভাগের কথা চলছিল। ইতিমধ্যে আবগারি দফতর মুর্শিদাবাদকে ভেঙে বহরমপুর ও জঙ্গিপুর জেলা করা হয়েছে। গত নভেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বহরমপুরে এসেছিলেন। সে সময় জেলা ভাগের ইঙ্গিত দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এ দিন তা বাস্তব চেহারা নিল। ৬১টি পঞ্চায়েত ও ২টি পুরসভা এলাকা পড়ছে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলায়। বর্তমানে নতুন পুলিশ জেলায় জনসংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ২০.০৪ লক্ষ। জঙ্গিপুরে রয়েছে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ও এমডিআই’য়ের মত দু’টি বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গুরুত্বপূর্ণ ফরাক্কা ব্যারাজ, এনটিপিসি ও পিডিসিএলের মত ২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, একাধিক কল কারখানা, রাইস মিল, শতাধিক বিড়ি কারখানা। পৃথক পুলিশ জেলা গড়ে জঙ্গিপুরকে আরও বেশি নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবে। প্রতি মন্ত্রী জাকির হোসেনের মতে, পুলিশ যত কাছে আসবে মানুষ তত নিরাপত্তা পাবে ভেবেই এই সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের।’’তবে, জঙ্গিপুরকে পুলিশ জেলা করার বিশেষ কারণ রয়েছে বলে সূত্রে খবর। এলাকা বাংলাদেশ সংলগ্ন বলে জাল টাকা, বেআইনি অস্ত্র রাজ্যে আসছে। তা রুখতে জেলা ভাগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE