—ফাইল চিত্র।
কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকদের যাওয়ার প্রতিবাদে ধর্মতলায় ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে রাজ্যের আইপিএস অফিসারেরা কেন হাজির ছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রাজ্য তার জবাবও দিয়েছিল। সূত্রের খবর, সেই জবাবে খুশি নয় কেন্দ্র।
গত ফেব্রুয়ারিতে ধর্মতলায় মমতার রাতভর ধর্নার সময় তাঁর সঙ্গে রাজ্য পুলিশের ডিজি-সহ পাঁচ আইপিএস-কে দেখা গিয়েছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে ‘শৃঙ্খলাভঙ্গে’র জন্য ব্যবস্থা নিতে বলার পাশাপাশি রাজ্যের ব্যাখ্যাও চেয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সূত্রের খবর, মন্ত্রককে রাজ্য জানিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপি-র নিরাপত্তার প্রয়োজনেই ওই অফিসারেরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু মন্ত্রক রাজ্যকে বুঝিয়ে দিয়েছে, ওই ব্যাখ্যা তাদের যুক্তিসঙ্গত মনে হয়নি। ফলে ফের ব্যাখ্যা পাঠাতে হবে তাদের।
প্রবীণ আমলাদের একাংশের মতে, আইপিএস-দের নিয়ন্ত্রক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ফলে সার্ভিস রুল ভঙ্গ হয়েছে মনে করলে তারা কোনও আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই পারে। যদিও প্রশাসনিক কর্তাদের অনেকের আবার দাবি, মন্ত্রক নয়, আইপিএস বা আইএএস অফিসারদের প্রকৃত নিয়ন্ত্রক রাজ্য সরকার। সেই কারণেই কোনও অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত বা কোনও পদক্ষেপ করার বিষয়টি থাকে রাজ্যের হাতেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সুপারিশ করতেই পারে। কিন্তু তা মানা হবে কি না, তা নির্ভর করে রাজ্যের বিবেচনার উপরে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ওই কর্তাদের দাবি, যে পাঁচ আইপিএস-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা সকলেই সরাসরি নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সঙ্গে যুক্ত। মুখ্যমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপি সেই পরিধির বাইরে নন। তা ছাড়া, ওই ধর্নায় কোনও রাজনৈতিক রং ছিল না। সেই কারণেই শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ যুক্তিসঙ্গত মনে করা হচ্ছে না। প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তার কথায়, ‘‘আইন অনুযায়ী দেখলে রাজ্যের বক্তব্যই যুক্তিসঙ্গত। ফের সেই ব্যাখ্যাই কেন্দ্রকে জানানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy