ঘাটশিলা থেকে ফিরছিলেন কলকাতার এক স্ত্রীরোগ চিকিৎসক। ফেরার পথে রেলের ওয়েবসাইটে (‘ন্যাশনাল ট্রেন এনকোয়ারি’) নির্দিষ্ট ট্রেনটির সময়সূচি দেখেই স্টেশনে যান তিনি। কিন্তু গিয়ে দেখেন, ওয়েবসাইটে যে-সময়ের কথা বলা হয়েছে, ট্রেনটি তার থেকে আরও এক ঘণ্টা দেরিতে স্টেশনে পৌঁছবে। ওই চিকিৎসকের বক্তব্য, নেটে যদি ট্রেনের ঠিক সময় জানালে তিনি আরও অন্তত ১০ জন রোগীকে দেখে তার পরে স্টেশনে যেতে পারতেন।
নিত্যদিন এই অভিজ্ঞতা হচ্ছে অসংখ্য যাত্রীর। তাঁদের অভিযোগ, ন্যাশনাল এনকোয়ারি সিস্টেমে যে-সময় দেখানো হচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রেই ট্রেন চলাচলের সঙ্গে তার কোনও তালমিল থাকছে না। ওয়েবসাইটে ঠিক সময়ের উল্লেখ থাকলেও কার্যক্ষেত্রে ট্রেনটি চলছে অনেক দেরিতে। অনেক সময়েই দীর্ঘ ক্ষণ ‘আপডেট’ বা শেষতম তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। সব মিলিয়ে যাত্রীদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে সংশয়, বিভ্রান্তি।
ওয়েবসাইটে দেওয়া সময়ের সঙ্গে ট্রেন চলাচলের মিল থাকছে না কেন? বৈদ্যুতিন যন্ত্রে ট্রেনের শেষতম তথ্য উল্লেখ করতেই বা এত গড়িমসি কীসের? কী বলছেন রেলকর্তারা?
আরও পড়ুন: জোগান কম, দোলের আগে আকাল মদের
রেল সূত্রের খবর, ওয়েবসাইটে দেওয়া ট্রেনের তাৎক্ষণিক তথ্যগুলি সারা দেশের বিভিন্ন ডিভিশনের কন্ট্রোল থেকে ফোনের মাধ্যমে জেনে লেখা হচ্ছে। অনেক সময়ে বিভিন্ন ডিভিশন নিজেরাই রেলের ‘কন্ট্রোল অফিস অ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যার’-এর মাধ্যমে ট্রেনের সময় জানিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু ওই কাজটা চলছে হাতে-কলমে। তা ছাড়া অনেক ক্ষেত্রেই স্টেশনগুলি ঠিক সময়ে কন্ট্রোলের কাছে তথ্য পাঠাতে পারছে না। ফলে যথাসময়ে তথ্য বদল করতে বা শেষতম তথ্য দিতে সমস্যা হচ্ছে।
এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার পাকাপাকি ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে বলে রেলের দাবি। ট্রেন কখন কোথায় আছে, এ বার ওয়েবসাইট থেকেই নির্দিষ্ট ভাবে তা জানতে পারবেন যাত্রীরা। ঠিক যে-ভাবে জানা যায় বিমানের খবরাখবর। কী ভাবে এটা সম্ভব হবে?
রেলকর্তারা জানাচ্ছেন, রেল মন্ত্রক এ ব্যাপারে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ইসরোর সাহায্য নিচ্ছে। ট্রেনের ইঞ্জিনে বসানো হচ্ছে ‘জি স্যাট-৬’ নামে একটি যন্ত্র। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ওই যন্ত্র সিগন্যাল পাঠিয়ে প্রথমে ট্রেনগুলির অবস্থান চিহ্নিত করবে, তার পরে জানিয়ে দেবে, কোন ট্রেন কখন কোথায় আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy