এমবিএ-তে ভর্তির জন্য শুরুতেই ৯০ লাখ টাকা। ডাক্তারির জন্য খরচ ১ কোটি ২০ লাখ!
বাইরে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। কলকাতা পুরসভার বৈধ লাইসেন্সও আছে। আর তার আড়ালেই চলছিল কোটি কোটি টাকার প্রতারণা।
সার্ভে পার্ক থানা এলাকার কালিকাপুর মোড়। সেখানেই একটি বহুতলে সাজানোগোছানো অফিস। বাইরে লেখা ইন্ডিয়ান লিড ডট কম। সেই অফিস থেকেই ফোন যেত ছাত্রছাত্রীদের কাছে। কর্নাটকের নামী মেডিক্যাল এবং ম্যানেজমেন্ট কলেজে ভর্তি করে দেওয়ার টোপ। অনাবাসী ভারতীয় বা ম্যানেজমেন্ট কোটায় ভর্তি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি।
খরচ কেমন?
এমবিএ-তে ভর্তির জন্য শুরুতেই ৯০লাখ টাকা। ডাক্তারির জন্য খরচ ১ কোটি ২০ লাখ। বেঙ্গালুরুর ক্রাইস্ট কলেজ এবং কেম্পেগৌড়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে ভর্তির সুযোগ করে দেবে এই সংস্থা। ছাত্রছাত্রী বা তাঁদের অভিভাবকদের বিশ্বাস তৈরি করতে বেঙ্গালুরুতেও অফিস খুলে বসেছিল এই চক্র।
আরও পড়ুন: চায়ের দোকানে পিটিয়ে খুন তৃণমূল নেতাকে
গত কয়েক মাস ধরেই অভিযোগ আসছিল পুলিশের কাছে। সম্প্রতি এক ছাত্রের অভিভাবক গরফা থানাতে অভিযোগ দায়ের করেন। প্রায় ২৫ লাখ টাকা ইতিমধ্যেই ওই সংস্থাকে তিনি দিয়েছেন ছেলেকে এমবিবিএস-এ ভর্তি করর জন্য। কিন্তু প্রায় ছ’মাস পেরিয়ে গেলেও ওই ছাত্রকে ভর্তির কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। শেষ পর্যন্ত সেই কলেজে খোঁজ নিতে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, ওই সংস্থার সঙ্গে আদৌ কোনও যোগ নেই মেডিক্যাল কলেজের।
এর পরেই সার্ভে পার্ক থানাও অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরকম আরও অভিযোগ পায় পুলিশ।সাব ইনস্পেক্টর টিএন তিওয়ারির নেতৃত্বে পুলিশ হানা দেয় ইন্ডিয়ান লিডের অফিসে। সেখানে সংস্থার দুই কর্মী অপালা দত্ত এবং অমিত কুমার রাণা তদন্তকারীদের জানান যে, কম্পিউটার প্রশিক্ষণের নামে ভুয়ো অ্যাডমিশন চক্র চালাচ্ছে এই সংস্থা। ওই দুই কর্মীর সাহায্যেই সংস্থার দুই ম্যানেজার অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত এবং ক্ষিতিশ সাহুর হদিশ পায় পুলিশ। সংস্থার দুই ডিরেক্টর-সহ মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করেছেসার্ভে পার্ক থানা।
আরও পড়ুন: পরীক্ষার হলে চলে এল ভুল প্রশ্নপত্র, ফের বিতর্কে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
তাদের জেরা করেই সংস্থার মালিক অজিতেশ মণ্ডল এবং অশ্বিনী মোদীর কথাজানতে পারেন তদন্তকারীরা। মোদীর দায়িত্ব ছিল কলকাতার অফিস সামলানো। সংস্থার কর্মীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, একাধিক টেলিকলার নিয়োগ করা হয়েছিল। ডেটাবেস দেখে ফোন করা হত ছাত্রছাত্রী এবং তাঁদের অভিভাবকদের। ওই সংস্থার অফিস থেকে ৩০টির বেশি মোবাইল ফোন এবং প্রচুর সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অজিতেশ এর আগেও ২০১৬ সালে বেঙ্গালুরুতে গ্রেফতার হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy