—ফাইল চিত্র।
ভোট-বিধি ভেঙে তিনি অধস্তন দুই অফিসারকে বদলি করেছেন বলে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপারের বিরুদ্ধে। তার ফয়সালা হওয়ার আগেই সরকারি পদের অপব্যবহার করে ওই পুলিশ জেলার অন্য এক কর্তার বিরুদ্ধে রাজ্যের শাসক দলের হয়ে তোলাবাজির অভিযোগ উঠল। এবং সেই অভিযোগ এতটাই গুরুতর যে, অবিলম্বে ডিএসপি পদমর্যাদার ওই পুলিশকর্তার বিষয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ করার জন্য রাজ্য পুলিশের শীর্ষ স্তর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য পুলিশ সূত্রের খবর, ২৫ মার্চ খিদিরপুর এলাকার এক বাসিন্দা জাতীয় নির্বাচন কমিশন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলের কাছে অভিযোগ করেছেন, বারুইপুর জেলা পুলিশের ডিএসপি পদমর্যাদার এক অফিসার সরকারি পদের প্রভাব বিস্তার করে শাসক দলের হয়ে বাজার থেকে নানা ভাবে টাকা তুলছেন। ওই ডিএসপি-কে শাসক দলের ‘এজেন্ট’ বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন অভিযোগকারী! কমিশনের কাছে তাঁর আবেদন, ওই পুলিশকর্তা শাসক দলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, তাই তাঁকে যেন নির্বাচন প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা হয়।
ওই অভিযোগ পেয়েই তৎপর হয়ে ওঠেন রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। রাজ্যের অতিরিক্ত ইনস্পেক্টর জেনারেল (সদর)-২ আর শিবকুমারী ওই অভিযোগের তদন্ত রিপোর্ট চেয়ে ৩ এপ্রিল অতিরিক্ত ইনস্পেক্টর (প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ) রাজেশ কুমার সিংহকে চিঠি দিয়েছেন। অতিরিক্ত ইনস্পেক্টর জেনারেলের অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগের তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে বারুইপুর জেলা পুলিশের দফতরে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বারুইপুর জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-পদের এক অফিসার ওই অভিযোগের তদন্ত শুরু করছেন। অভিযুক্ত পুলিশকর্তা ২০১৬ সালের ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ সার্ভিস ব্যাচের অফিসার। তিনি প্রথমে বারুইপুর জেলা পুলিশে যোগ দেন। তাঁর বাড়ি একবালপুর এলাকায়। অভিযোগকারী একবালপুর থেকে কিছু দূরে খিদিরপুর এলাকার বাসিন্দা। প্রাথমিক ভাবে অভিযোগকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অভিযুক্ত অফিসারকেও। রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানান, ওই অভিযোগের সত্যতা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। রাজ্য পুলিশ-প্রশাসন বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের অধীনে রয়েছে। অভিযোগকারীও নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানিয়েছেন। অভিযোগটি খুবই স্পর্শকাতর। তাই খুব গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি তদন্ত রিপোর্ট রাজ্য পুলিশের আইজি অফিসে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy