Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Lok Sabha Election 2019

কেশপুরে পুলিশকে ‘হুমকি’ ভারতীর 

পুলিশের উদ্দেশে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘‘খবরদার আমাকে ঘিরবেন না। যারা মানুষকে আটকাচ্ছে, তাদেরকে গিয়ে ঘিরুন। যদি আমাকে বারবার ঘেরা হয়, তা হলে আমি রাস্তায় বসে যাব। রাস্তা থেকে আর উঠব না।’’

পুলিশের সঙ্গে তর্ক ভারতী ঘোষের। নিজস্ব চিত্র

পুলিশের সঙ্গে তর্ক ভারতী ঘোষের। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কেশপুর শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:০৪
Share: Save:

বরাবরই শাসকের শক্ত ঘাঁটি কেশপুর। কিন্তু সেখানেও যে তিনি লড়াই করতে প্রস্তুত, রবিবার দ্বিতীয় দফায় প্রচারে এসে তাই বোঝানোর চেষ্টা করলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ।

পুলিশের উদ্দেশে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘‘খবরদার আমাকে ঘিরবেন না। যারা মানুষকে আটকাচ্ছে, তাদেরকে গিয়ে ঘিরুন। যদি আমাকে বারবার ঘেরা হয়, তা হলে আমি রাস্তায় বসে যাব। রাস্তা থেকে আর উঠব না।’’ তৃণমূলের জমায়েতের উদ্দেশে বললেন, ‘‘সামনে এসে লড় না দেখি, কত হিম্মত আছে। মানুষকে ভোট দিতে দিলে তো হারবি। যারা গুন্ডামি করছে তাদের বলছি, আজকে আমি রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। কাল কেশপুরের মধ্যে ঢুকব। আমি দেখব, কার কত গায়ের জোর।’’ এর আগেও একদিন কেশপুরে প্রচারে এসেছিলেন ভারতী। সে দিন ভারতীর গাড়ি লক্ষ্য করে তৃণমূলের লোকেরা ইট ছুঁড়েছিল বলে অভিযোগ।

এ দিন কেশপুরে ভারতী ছিলেন কিছুটা ‘আগ্রাসী’ মেজাজে। কেশপুরের ওসি হীরক বিশ্বাসকেও সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘‘পুলিশের ওসি হাঁ করে সব দেখবে? স্ট্যাচু হয়ে থাকবে? কিছু করবে না? কিছু লোক রাস্তায় নেমে মানুষকে ঘরে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। তা-ও কিছু করছেন না? তৃণমূলের দলদাস পুলিশ। আমি নির্বাচন কমিশনে সব জানাচ্ছি।’’ এ দিন দলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্যকে সঙ্গে নিয়ে আমড়াকুচি থেকে প্রচার শুরু করেন ভারতী। তিনি সেখানে পৌঁছে দেখেন, এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ। যেন বন্‌ধের পরিবেশ। কেন এই অবস্থা? স্থানীয় প্রদীপ কুইল্যার জবাব, ‘‘তেমন বাজার নেই। তাই দোকানপাট বন্ধ!’’ ভারতীর অভিযোগ, ‘‘ভারতী ঘোষকে একটা বার্তা দিতে হবে যে, মানুষ তাঁকে চায় না। তাই সব দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।’’ কেশপুরের ওসিকে সামনে পেয়ে প্রাক্তন আইপিএসের ফের একবার ক্ষোভ গিয়ে পড়ে তাঁর উপরে। তিনি বলেন, ‘‘ওরা মানুষকে আটকাচ্ছে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন না? আপনাদের লজ্জা করে না?’’

বিজেপি প্রার্থীকে কি তৃণমূল আটকানোর চেষ্টা করছে? তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতির মন্তব্য, ‘‘যিনি থার্ড পজিশনে থাকবেন তাঁকে কেউ আটকানোর চেষ্টা করে?’’ তা হলে দোকানপাট বন্ধ কেন? অজিতের জবাব, ‘‘কেউ যদি ওঁকে (ভারতী) সহ্য করতে না- পারে, নিজে থেকেই দোকান বন্ধ করে দেয়, তবে আমরা কী করব! আমরা কী তার বাড়ি গিয়ে বলব, না ভাই, তুমি দোকান খোলো!’’ অজিতের সংযোজন, ‘‘কেশপুরে যে ভাবে তিনি (ভারতী) পুলিশকে হুমকি দিয়েছেন, এর ফল ওঁকে ভোগ করতে হবে।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

আমড়াকুচি থেকে বগছড়ি হয়ে কেশপুর বাজারে পৌঁছন ভারতী। সেখানে সিআইডি- কেও এক হাত নেন তিনি। ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘‘নোটিস দিয়ে আমাকে বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখার চেষ্টা হচ্ছে।’’ কেশপুর বাজারে ভারতীকে চকলেট দেন শেখ মনসুর আলি নামে এক দোকানি। আবার শেখ খলিলুর নামে এক দোকানি ভারতীর কাছে দাবি করেন, ‘‘আমাদের কাছে উন্নয়ন পৌঁছেছে। আমরা সব পেয়েছি।’’ শুনে ভারতী তাঁকে বলেন, ‘‘আপনি ভয়ে আছেন। তাই সব পেয়েছি বলছেন। আমি বুঝতে পারছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 BJP Bharati Ghosh police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE