Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বিজেপি প্রার্থীর নাম শুনে ভাঙচুর কার্যালয়ে

চোরাচালান থেকে আরও নানা বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যুব বনাম মূল তৃণমূলের দ্বন্দ্বেও তিনিই মূল সূত্রধর, এমন দাবিও উঠেছে বহু বার।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৯ ০৩:৩৩
Share: Save:

চোরাচালান থেকে আরও নানা বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যুব বনাম মূল তৃণমূলের দ্বন্দ্বেও তিনিই মূল সূত্রধর, এমন দাবিও উঠেছে বহু বার। মাত্র তিন মাস আগে তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত সেই দিনহাটার নিশীথ প্রামাণিককে বিজেপি কোচবিহার কেন্দ্রে প্রার্থী করায় তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় দলের মধ্যে। দোলের সন্ধেয় এই খবর এলে ভাঙচুর শুরু হয় দলের কার্যালয়ে। বিজেপি জেলা সভানেত্রী মালতী রাভার গাড়ির উপরে উঠে পড়েন কয়েক জন বিজেপি কর্মী। গাড়ি থেকে নামিয়ে তাঁকে হেঁটে বাড়ি ফিরতে বাধ্য করা হয়। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে প্রার্থী হিসেবে অন্য নাম প্রস্তাব করা হয়। তাতে মালতী সইও করেন।

যদিও শুক্রবার এই ক্ষোভ অনেকটা সামলানো গিয়েছে বলে জেলা নেতৃত্বের দাবি। এ দিন নিশীথও শহরে ঢোকেন। মদনমোহন মন্দির ঘুরে বিকেল চারটের সময় দলের কার্যালয়ে যান। তাঁর কথায়, “আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে। তবে মানুষ জবাব দেবেন।” তাঁর বদলে যাঁকে প্রার্থী হিসেবে চেয়েছিলেন অনুগামীরা সেই দীপক বর্মণ বলেন, ‘‘দলের নির্দেশই মেনে চলতে হবে।’’ মালতীর বক্তব্য, “প্রার্থী ঠিক করেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আমার কিছু করার নেই। তবে নিশীথ যে হেতু তৃণমূল ঘরানার ছেলে, তাঁকে মানতে পারছেন না কর্মীরা।”

বিজেপিরই একটি বড় অংশের দাবি, ভোটের আর ক’দিন বাকি। তার মধ্যে এই ক্ষোভের আগুন নেভার নয়। তাই ভোটে কোন্দলের প্রভাব পড়বেই।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বিজেপি কর্মীদের দাবি, মাত্র কয়েক মাস আগেই দিনহাটায় নিশীথই বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বারবার সংঘর্ষে জড়ান। নিশীথ তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হন ৭ ডিসেম্বর। ২৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। মাঝখানের সময়টুকু জেলায় তাঁকে বিশেষ দেখা যায়নি। কিন্তু তার আগে নিশীথ দিনহাটায় তৃণমূল যুবর ডাকাবুকো নেতা বলেই পরিচিত ছিলেন। শুক্রবার নিশীথের ঘনিষ্ঠ এক যুবক আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার হন। সেই নিশীথকেই জেতাতে ময়দানে নামতে নারাজ অনেক বিজেপি কর্মীই।

অভিযোগ উঠেছে, প্রার্থী স্থির করার ক্ষেত্রে টাকার লেনদেন হয়েছে। তৃণমূলে থাকার সময় ভেটাগুড়িতে এ বার প্রায় কোটি টাকা খরচ করে গণেশ পুজো করেছিলেন নিশীথ। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদের কথায়, ‘‘বিজেপি অফিসে বিক্ষোভের সময় অভিযোগ ওঠে, প্রার্থী ঠিক করার ক্ষেত্রে টাকার লেনদেন হয়েছে। ওরা নিজেরাই এই কথা তুলেছে। তাতে সত্য থাকতেও পারে।’’ মালতী বলেন, “এক টাকাও নিয়েছি, কেউ বলতে পারবেন না। আমি আমার কাছে সৎ।” বিজেপির অনেক কর্মীর দাবি, টাকার প্রসঙ্গ যখন উঠেছে, তা খতিয়ে দেখা হোক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 Coochbehar BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE