Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

উর্দি পরেই রামনবমীর লাঠিখেলায় পুলিশকর্মী

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার কুলটির বেজডিহিতে রামনবমী উপলক্ষে শোভাযাত্রা বেরোয়। সেখানে ‘ডিউটি’ করছিলেন বরুণবাবু।

লাঠি খেলছেন সাব-ইনস্পেক্টর বরুণ মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।

লাঠি খেলছেন সাব-ইনস্পেক্টর বরুণ মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৩২
Share: Save:

পরনে খাকি উর্দি। কোমরে গোঁজা সার্ভিস রিভলভার। মাথায় গেরুয়া পাগড়ি। রামনবমী উপলক্ষে এই পোশাকে লাঠি খেলছেন এক পুলিশকর্মী, দেখা গেল সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিয়োয়। পশ্চিম বর্ধমানের কুলটির নিয়ামতপুর ফাঁড়ির সাব-ইনস্পেক্টর বরুণ মণ্ডল কর্তব্যরত অবস্থায় এমন কাজ করেছেন বলে অভিযোগ। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার কুলটির বেজডিহিতে রামনবমী উপলক্ষে শোভাযাত্রা বেরোয়। সেখানে ‘ডিউটি’ করছিলেন বরুণবাবু। স্থানীয় সূত্রের দাবি, তখনই তাঁর মাথায় কে বা কারা পাগড়ি পরিয়ে দেয়। কয়েক জন লাঠি খেলার অনুরোধ জানাতেই যোগ দেন তিনি। বেশ কয়েক মিনিট ধরে চলে সেই খেলা। তার একটি ভিডিয়ো (‌সেটির সত্যাসত্য আনন্দবাজার যাচাই করেনি) শনিবার রাত থেকে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এর পরেই সরব হয়েছেন সিপিএম এবং তৃণমূল নেতারা। কুলটির তৃণমূল বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরীদের প্রশ্ন, কর্তব্যরত অবস্থায় কী ভাবে দায়িত্ব ভুলে লাঠিখেলায় মাতলেন বরুণবাবু? বিজেপির জেলা পর্যবেক্ষক তাপস রায়ের অবশ্য বক্তব্য, ‘‘কোনও পুলিশ এটা করতে পারেন না। তবে নেপথ্যে অন্য কিছু আছে কি না, দেখা উচিত।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

রবিবার বরুণবাবু মন্তব্য করতে চাননি। পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস বলেন, ‘‘বিষয়টি নজরে এসেছে। আমরা বিশদে খোঁজখবর করছি।’’

অবস্থানে প্রার্থী প্রচারে বাধা পেয়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে দুবরাজপুর থানার সামনে অবস্থানে বসলেন বীরভূম কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী রেজাউল করিম। তৃণমূলের মোটরবাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ থাকলেও, তাতে জুড়ে গিয়েছে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার প্রসঙ্গও। সিপিএমের অভিযোগ, বোধগ্রামে ঢোকার মুখেই পথ আটকে দাঁড়ায় তৃণমূলের বাইক বাহিনী। তাদের বাধায় ওই গ্রামে প্রচারই করা যায়নি। এক ঘণ্টা পরে পুলিশ পৌঁছলেও দুষ্কৃতীদের হঠানোর ব্যবস্থা করেনি। প্রার্থী রেজাউল করিম বলছেন, ‘‘নির্বাচনের আগেই যদি এই হাল হয়, তা হলে ভোট কেমন হবে বোঝাই যাচ্ছে।’’ জেলার পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথের জবাব, ‘‘সিপিএম প্রার্থী ১৫টি গ্রামে প্রচার চালিয়েছেন। সমস্যা হয়নি। শুধু একটি জায়গায় বাধা পেয়েছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন। অবশ্যই আইন মেনে পদক্ষেপ করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE