প্রতীকী চিত্র
অভিযান চালিয়েছিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। বুধবার হুগলির তৃণমূল নেতা দিলীপ দাসের বাড়িতে হিসাব বহির্ভূত কোনও টাকা উদ্ধার হয়নি। মিলেছে দু’টি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র, তিনটি ম্যাগাজিন এবং ২১ রাউন্ড গুলি। ওই অস্ত্র রাখার অভিযোগে দিলীপবাবুর ছোট ছেলে জয়প্রকাশকে রাতে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার অবশ্য তিনি এক হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে এবং দেশ ছেড়ে না-যাওয়ার শর্তে চুঁচুড়া আদালত থেকে জামিন পান। জয়প্রকাশ ওই আদালতেরই আইনজীবী।
দিলীপবাবু চুঁচুড়া-মগরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। তিনি চুঁচুড়ার কারবালার কাছে একটি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। বছর সাতেক আগে অবসর নেন। তিনি বলেন, ‘‘আগ্নেয়াস্ত্র ছেলের নয়। আমাদের ফাঁসাতে বিরোধীদের কেউ আগ্নেয়াস্ত্র রেখে গিয়েছে।’’ ভোটের মুখে এই ঘটনায় অস্বস্তিতে শাসকদল। তৃণমূল বিধায়ক তপন মজুমদার বলেন, ‘‘আইনে ভরসা আছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ আয়কর হুগলি স্টেশনের কাছে কানাগড়ে দিলীপবাবুর বাড়িতে হানা দেয়। দিলীপবাবু স্ত্রীকে নিয়ে তখন এক আত্মীয়ের বাড়ি রওনা হয়ে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিলেন জয়প্রকাশ। সেই সময়ে তল্লাশি চালিয়ে একটি ঘরের আলমারির মাথা থেকে দু’টি নাইন এমএম পিস্তল, তিনটি ম্যাগাজিন এবং ২১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেন আধিকারিকেরা। অন্য একটি জায়গায় থেকে মেলে দিলীপবাবুর লাইসেন্সপ্রাপ্ত সেভেন এমএম পিস্তল। জয়প্রকাশকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আয়কর জানিয়েছে, অফিসাররা যা পেয়েছিলেন তা পুলিশকে হস্তান্তর করেন। পুলিশ জানায়, অস্ত্র আইনের জামিনঅযোগ্য দু’টি ধারায় (২৫ এবং ২৭ নম্বর) জয়প্রকাশের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতকে বৃহস্পতিবার চুঁচুড়া আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) সাধন মণ্ডলের এজলাসে হাজির করানো হয়। ওকালতনামায় একশোরও বেশি আইনজীবী সই করেন। জয়প্রকাশ ওই অস্ত্র রাখতে পারেন বলে মানছেন না আইনজীবীদের একাংশ। তাঁদেরও দাবি, ‘‘কেউ ফাঁসিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy