Advertisement
০৫ মে ২০২৪

দেওয়াল তুমি কার! তরজায় বিজেপি-তৃণমূল

তৃণমূলের দেওয়াল লিখন।

তৃণমূলের দেওয়াল লিখন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৯ ০৭:৫৭
Share: Save:

একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়াল। তা ঘিরে ‘ঠাণ্ডা লড়াই’ দুই রাজনৈতিক দলের। থামাতে মাঠে নামতে হল নির্বাচন কমিশনকে। সাময়িক মিটমাট হলেও প্রশ্ন উঠেছে, নির্বাচন কমিশনের নিষেধ অমান্য করে কোনও রাজনৈতিক দল কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেওয়ালে প্রচার চালায় কী করে!

স্থানীয় সূত্রে খবর, তমলুকে জেলখানার মোড় এবং থানার মাঝে রয়েছে শহরের অন্যতম প্রাচীন সংস্কৃত শিক্ষার টোল। টোলের প্রাচীরে গত শুক্রবার বিজেপি তাদের প্রার্থীর প্রতীক-সহ দেওয়াল লিখন করে বলে অভিযোগ। কিন্ত রবিবার সন্ধ্যায় বিজেপি’র সেই লিখন মুছে তৃণমূলের প্রতীক-সহ প্রাথীর নাম লেখা হয় বলে অভিযোগ। তমলুক থানা থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়াল দখল ও লিখন নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি’র এমন ‘লড়াই’ স্থানীয়দের নজর এড়ায়নি।

সোমবার সকালে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়ালে রাজনৈতিক দলের প্রচারমূলক লিখন দেখেই পুলিশের তরফে ব্লক নির্বাচন দফতরের কাছে খবর পৌঁছয়। এর পরেই তমলুক ব্লক নির্বাচন দফতরের ‘মডেল কোড অফ কন্ড্যাক্ট’ (এমসিসি) দল ওই লিখন মুছে দেয় বলে জানা গিয়েছে। জেলা নির্বাচন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়ালে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর দেওয়াল লিখন থাকার বিষয়টি নজরে আসার পরেই তা মোছার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

মুছে দিয়েছে প্রশাসন।

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে জেলা সদর তমলুকে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের শাসক দলের এই নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করে দেওয়াল লিখন নিয়ে। বিজেপি’র তমলুক নগর সভাপতি মধুসূদন প্রামাণিক বলেন, ‘‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়ালে আমাদের দলের সমর্থনে দেওয়াল লিখেছিলাম, এটা ঠিক। তবে আমরা না জেনেই, তা করেছিলাম। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ করতে পারে।’’ পাশাপাশি মধুসূদনের ক্ষোভ, ‘‘রবিবার বিকেল পর্যন্ত ওই দেওয়ালে আমাদের দলের লিখন ছিল। কিন্তু সন্ধ্যায় ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেই তৃণমূল কর্মীরা তা মুছে নিজেদের প্রার্থীর নাম লিখেছে। এটা গা জোয়ারি ছাড়া আর কিছু নয়।’’

অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর তথা তমলুকের উপপুরপ্রধান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায় বলেন, ‘‘ওই দেওয়ালে আমাদের দলের প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারের জন্য আগে দেওয়াল সাদা রঙ করা ছিল। গত কাল বিকেলে আমাদের দলের কর্মীরা দেওয়াল লিখন করেছিলেন। বিজেপি’র দেওয়াল লিখন মোছার অভিযোগ ঠিক নয়।’’ কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়ালে প্রচার কেন? এ নিয়ে কি কমিশনের নিষেধাজ্ঞা জানেন না? জবাবে উপপুরপ্রধান বলেন, ‘‘ওই প্রচার যদি নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করে, তবে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতেই পারে।’’

অন্যদিকে, তমলুক-ঘাটাল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে এখনও মুখ্যমন্ত্রীর ছবি-সহ সমবায় মেলার প্রচারমূলক ব্যানার টাঙানো আছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ব্যাঙ্কের পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা গোপাল মাইতি বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কের অফিসে রাজনৈতিক প্রচারমূলক আমাদের কোনও ব্যানার নেই। অন্য কোনও সগঠনের এরকম ব্যানার রয়েছে কি না জানা নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE