Advertisement
১১ মে ২০২৪

বনগাঁ কেন্দ্রে প্রতীক্ষা পদ্মে

বনগাঁ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতাবালা ঠাকুর এবং সিপিএম প্রার্থী অলোকেশ দাস পুরোদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু ওই কেন্দ্রে এখনও প্রার্থীই দিতে পারেনি বিজেপি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কল্যাণী শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৯ ০২:৩৪
Share: Save:

নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর প্রায় দু’সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। বনগাঁ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতাবালা ঠাকুর এবং সিপিএম প্রার্থী অলোকেশ দাস পুরোদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু ওই কেন্দ্রে এখনও প্রার্থীই দিতে পারেনি বিজেপি।

নদিয়ার হরিণঘাটা ও কল্যাণী, দুই বিধানসভা কেন্দ্রই পড়শি জেলা উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ লোকসভার মধ্যে পড়ে। দিন কয়েক আগে দিল্লিতে দলের সদর দফতর থেকে বিজেপি নেতা জেপি নাড্ডা যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন, সেখানে বনগাঁ লোকসভার প্রার্থীর নাম ছিল না। তবে দলের নেতাদের আশা, শনিবার রাতেই হয়ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে। প্রার্থীর নাম ঘোষণায় দেরি হওয়ায় দলের কর্মীদের একাংশের মনোবল ধাক্কা খেয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। এক বিজেপি কর্মী বলেন, ‘‘কর্মীরা দেখছেন, তৃণমূল ও বামেরা প্রার্থীদের নামে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু তাঁরা কিছুই করতে পারছেন না।’’

তবে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, প্রার্থীর নাম ফাঁকা রেখে দেওয়াল লিখন চলছে। এ ছাড়াও ভোটারদের মোবাইলে বার্তা পাঠিয়ে, হোয়াটসঅ্যাপ করে দলের সমর্থনে ভোট চাওয়া হচ্ছে। আর তুলে ধরা হচ্ছে কেন্দ্র সরকারের গত কয়েক বছরের জনমোহিনী প্রকল্পের কথা। লোকজনকে জানানো হচ্ছে, কী ভাবে মোদী সরকারের আমলে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে।

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কল্যাণীর একটি শক্তি প্রমুখের প্রধান কৃষ্ণ মাহাতো বলেন, ‘‘ছ’টি বুথ নিয়ে একটি শক্তি প্রমুখ হয়। আমি একটি প্রমুখের দায়িত্বে রয়েছি। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ভোট প্রচারের নীল নকশা তৈরি করছি। আশা করি, দু’একদিনের মধ্যে প্রার্থীর নাম জানা যাবে। তখন লোকজনকে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ব।’’

বিজেপির নদিয়ার দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘আমাদের দল ক্যাডার ভিত্তিক এবং আদর্শ নির্ভর। ক্যাডারেরা পুরোপুরি তৈরি। প্রার্থীর নাম জানা গেলেই দলের আদর্শকে সামনে রেখে তাঁরা ভোট ময়দানে নেমে পড়বেন।’’

তবে নেতারা যাই বলুন না কেন কর্মীদের একাংশ কিন্তু বেশ হতাশ। এক কর্মী বলেন, ‘‘নির্বাচনের লড়াইয়ে সকলেই ময়দানে নেমে গিয়েছে। আমাদের দল এখনও পুরোপুরি ঝাঁপাতে পারল না। প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়েই তো ভোটের বৈতরণী পার হতে হবে। সেই প্রার্থীর নামই তো এখনও ঘোষনা হল না।’’

কর্মীদের বক্তব্য, শুধু মণ্ডল কমিটি এবং শক্তি প্রমুখগুলি নিজেদের মধ্যে সভা করলেই ভোটের প্রচার হয়। মিটিং-মিছিল না করলে তো ভোটের হাওয়াটাই তৈরি হয় না।

হরিণঘাটা ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি তথা নদিয়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ চঞ্চল দেবনাথ বলেন, ‘‘আমরা বুথ কমিটির সঙ্গে মিটিং করে ফেলেছি। দেওয়াল লিখন হয়ে গিয়েছে। ২৬ মার্চ প্রার্থী আসবেন। আর বিজেপি তো প্রার্থীই দিতে পারল না। ওরা কোনও মুখই
এখনও পেল না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE