মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
হিন্দুদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করেছেন, তা দেশের অন্য কোনও মুখ্যমন্ত্রী করেননি বলে দাবি করলেন তৃণমূল নেতারা। তাঁদের এই বক্তব্যকে বিজেপির ‘হিন্দু রাজনীতি’র মোকাবিলা হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল।
সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে স্লোগান দেওয়ার সময় তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, ‘হিন্দুরাও তৃণমূল, মুসলিমরাও তৃণমূল, শিখ-খ্রিস্টান-জৈন সবাই তৃণমূল’। এক সপ্তাহের মাথায় শনিবার মেদিনীপুরের কলেজ-কলেজিয়েট মাঠের সভা থেকেও তৃণমূল নেতৃত্ব বার্তা দিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁদের সরকার ধর্মীয় বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠে উন্নয়নের কাজ করছেন।
সভায় যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইমাম ভাতা, মোয়াজ্জেম ভাতা, ফুরফুরা শরিফের উন্নয়ন যেমন করেছেন, তেমনই হিন্দুদের বাৎসরিক মিলনক্ষেত্র গঙ্গাসাগরের আমূল পরিবর্তন করেছেন, দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক করেছেন, তারকেশ্বরে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে মন্দিরকে উন্নতমানের করেছেন। হিন্দুদের জন্য তিনি যা করেছেন, দেশের কোনও মুখ্যমন্ত্রী তা করেননি।” মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিভাজনের রাজনীতি করে ভারতবর্ষে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। তারা বাংলাকে বিভাজিত করতে চায়। বাংলায় তা হবে না। বাংলায় একজন জনগণের পাহারাদার আছেন। তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
জবাবে কলকাতায় বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ বলেন, ‘‘এতদিন তৃণমূল নেতারা ইনসা আল্লাহ্ বলতেন। বিজেপি ওঁদের দিয়ে হিন্দুদের কথা বলাতে পেরেছে। এটাই আমাদের সাফল্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy