Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
cabinet

জঙ্গলমহলে ভরাডুবি, মন্ত্রিসভায় বদল এনে আদিবাসীদের ভার নিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই

এই রদবদলে আদিবাসী কল্যাণ দফতর মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে রাখাটাই সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৮ ২০:৩৬
Share: Save:

আদিবাসীদের একটা বড় অংশ মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের দিক থেকে। দু’টাকা কিলো চাল, নতুন রাস্তাঘাট কিছু দিয়েই সন্তুষ্ট করা যায়নি তাঁদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনে জঙ্গল মহলের তিন জেলার ফলাফলই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।

তাই অন্য কারও হাতে আদিবাসী কল্যাণ দফতরের দায়িত্ব না ছেড়ে নিজের হাতেই রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় যে বড়সড় রদবদল হল, তার ইঙ্গিত ছিল মঙ্গলবারই। ওই দিনই পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রী আলিপুরদুয়ারের জেমস কুজুরকে। একই নির্দেশ পৌঁছেছিল ঝাড়গ্রামের চূড়ামণি মাহাতো এবং অবনী জোয়ারদারের কাছেও।

বুধবার সেই তালিকায় যোগ হল আরও কয়েকটি নাম। কারওর গুরুত্ব কমানো হল, আবার কয়েক জনের বাড়ল দায়িত্ব। সেচ দফতরের দায়িত্ব রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে নিয়ে দেওয়া হল সৌমেন দাস মহাপাত্রকে। সেচের বদলে চূড়ামণির অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের ভার পেলেন তিনি। কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পরিবেশ দফতরের ভার লাঘব করে অতিরিক্ত হিসেবে দেওয়া হল পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে। গুরুত্ব বাড়ল আইন মন্ত্রী মলয় ঘটকেরও। আইন-বিচার-শ্রমের পাশাপাশি এ বার তিনি দেখবেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরও। পঞ্চায়েতের সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে এই দফতর আগে দেখতেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

আরও খবর: তিন মন্ত্রীকে সরালেন মমতা

তবে এই রদবদলে আদিবাসী কল্যাণ দফতর মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে রাখাটাই সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েতের ফল নিয়ে আগেই অখুশি ছিলেন মমতা। এর আগে ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠকেও বেনজির ধমকের মুখে পড়েন চূড়ামণি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে চূড়ামণির নিজের কেন্দ্র গড়শালবনিতে বিজেপির জয়লাভ মোটেও ভাল চোখে দেখেননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের একাংশের দাবি, ফলপ্রকাশের পর ফের একবার প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর সেই গোষ্ঠীদ্বন্ধ ছাপিয়ে তৃণমূলেরই একাংশের অভিযোগ চূড়ামণি নাকি এখনও তলে তলে মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। চূড়ামণি এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি, তবে এটা স্পষ্ট যে চূড়ামণির বিরুদ্ধ গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত সুকুমার হাঁসদাকেও ভরসা করছেন না মমতা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE