প্রতীকী ছবি।
এক ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত করানো হয়। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রের খবর, ছাত্রীটির যৌনাঙ্গে ক্ষত রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। কিশোরীর পরিজনেরা মুখে যে অভিযোগ করেছেন, তার ভিত্তিতেই তদন্ত হচ্ছে।
বাড়ির লোকের দাবি, অন্তত ৫ মাস আগে ওই কিশোরীকে বেহুঁশ করে গণধর্ষণ করা হয়। ভিডিয়োও তোলা হয়। হুমকি দেওয়া হয়, মুখ খুললে ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়া হবে। ভয়ে পাঁচ মাস মুখ বুজে ছিল মেয়েটি। কিন্তু গর্ভবতী হয়ে পড়ায় মা-বাবাকে জানাতে বাধ্য হয়। বাড়ির লোক তাকে হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। সেখানে গর্ভপাত করিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে মেয়েটি। পরে মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। মেডিক্যাল সূত্রের খবর, ছাত্রীর পেটে বেশ কিছু নারকোলের ছোবড়া মিলেছে। হাতুড়ে তাকে বেহুঁশ করার সময়ে ছোবড়া ব্যবহার করতে পারে বলে চিকিৎসকদের একাংশের সন্দেহ।
জলপাইগুড়ির এসপি অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘ছাত্রীর পরিবার আমাদের যা জানিয়েছে, তার ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে। দু’জন ধরা হয়েছে। আরও এক জনের খোঁজ চলছে।’’ বানারহাট থানায় আইসি বিপুল সিংহ বলেন, ‘‘গুরুতর সব অভিযোগ। পরিবার এফআইআর করবে বলে জানিয়েছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন হাতুড়ে চিকিৎসককে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালল সূত্রের খবর, ১৯ জুন ওই কিশোরীর অস্ত্রোপচার হয়। বুধবার দুপুরে সেখানেই মারা যায় মেয়েটি। বানারহাটের স্কুলে ক্লাস নাইনের ছাত্রী ছিল সে। তার বাবা পেশায় শ্রমিক। মা, বাবা ও দুই ভাই বোনের সঙ্গে বানারহাট থানার পাশেই থাকত মেয়েটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy