প্রতীকী ছবি।
প্রতিটি দফতরের সব শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ সংক্রান্ত একটি চিঠি ঘিরে শনিবার বিভ্রান্তি ছড়ায়। অনুসন্ধান করে জানা গিয়েছে, চিঠিটি সম্পূর্ণ ভুয়ো। পুরভোটের আগে বিষয়টিকে লঘু করে দেখতে নারাজ রাজ্য প্রশাসন। তাই ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে লালবাজারে অভিযোগ দায়ের করেছে নবান্ন। তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশের সাইবার বিভাগ।
২১ জানুয়ারি তারিখ দেওয়া ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সব দফতরের সমস্ত বকেয়া নিয়োগ-প্রক্রিয়া নিয়ে রাজ্যের আইনসচিব সন্দীপকুমার রায়চৌধুরী একটি বৈঠক করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, যত দ্রুত সম্ভব নিয়োগের ওই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। বৈঠক থেকে এ-ও সিদ্ধান্ত হয়েছে, বকেয়া সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলতে হবে ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। সেই কারণে সব দফতরকে জানানো হয়েছে, তারা যেন যোগ্য চাকুরিপ্রার্থীদের তালিকা সরকারের কাছে জমা দিয়ে দেয়।’
চিঠিতে এ-ও দাবি করা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সব ‘ক্যাবিনেট সেক্রেটারি’ ওই বৈঠকে ছিলেন। চিঠিটি দেওয়াও হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সব ‘ক্যাবিনেট সেক্রেটারি’-কে।’ এমনকি, চিঠিতে অশোকস্তম্ভের তলায় ‘গভর্নমেন্ট অব ওয়েস্ট বেঙ্গল’ এবং নবান্নের ঠিকানা ছাপানো রয়েছে।
আরও পড়ুন: দলে আস্থা কমেছে কেন, জানতে নির্দেশ সূর্যকান্তের
গোটা বিষয়টা নিয়ে বিভ্রান্ত প্রশাসনিক কর্তাদের অনেকেই। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেশে এক জনই ‘ক্যাবিনেট সেক্রেটারি’ রয়েছেন। রাজ্য মন্ত্রিসভার পৌরোহিত্য করেন মুখ্য সচিব। ফলে তিনি রাজ্য মন্ত্রিসভা বা ক্যাবিনেটের সচিবের কাজ করলেও তাঁকে ‘ক্যাবিনেট সচিব’ বলা হয় না। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এই চিঠিটির অস্তিত্ব জানার পরেই লালবাজারকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে বলা হয়। সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, সামনেই কলকাতা-হাওড়া-সহ বেশ কয়েকটি পুরসভায় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে বিষয়টির পিছনে ‘গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ থাকতে পারে।
প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভাবে চিঠিটি ঘুরছে, তা ঠেকানো প্রয়োজন। কী ভাবে এমন অপরাধমূলক ঘটনা ঘটল, তা-ও জানা দরকার। পুলিশ খতিয়ে দেখছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy