ফাইল চিত্র।
মোদীর প্রশাসনে তিন মাস, মমতার প্রশাসনে আট মাস। প্রশিক্ষণের পর্ব শেষই হচ্ছে না নতুন আইএস অফিসারদের। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, প্রশিক্ষণের এত দিন পরেও মাঠে ময়দানে কাজ করার সুযোগ না পাওয়ার জেরে অফিসারদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
মুসৌরিতে প্রশিক্ষণ শেষে ২০১৫ ব্যাচের ১০ জন আইএএস অফিসার রাজ্য সরকারে যোগ দিয়েছেন ২০১৬ সালে। জেলায় এসডিও, বিডিও, বিএলআরও, কোর্ট অফিসে হাতে কলমে কাজের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ হয়েছে তাঁদের। ২০১৪ সালের পর থেকেই নতুন আইএএস অফিসারদের বিভিন্ন মন্ত্রকে ঘুরিয়ে আনার প্রথা চালু করেছে মোদী সরকার। আগের দুই ব্যাচের মতোই প্রথা মেনে ২০১৭ সালের মে মাস নাগাদ দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরে কাজ করেছেন এই দশ অবাঙালি অফিসার। ওই বছরের অক্টোবরে রাজ্যে ফিরেছেন তাঁরা। তার পর থেকেই বিভিন্ন দফতরে ওএসডি হিসাবে কাজ করতে হচ্ছে নতুন আইএএসদের। এই দুই পর্বেই কাজ শেখার বিশেষ সুযোগ নেই বলে মনে করছে প্রশাসনের একাংশ।
রীতি অনুযায়ী, দিল্লি থেকে ফিরেই কর্মজীবনের প্রথম ধাপ এসডিও পদে কাজ শুরু করার কথা। এখনও তাঁরা সেই পদ পাননি। শোনা যাচ্ছে, শীঘ্রই তাঁদের পোস্টিং দিতে চলেছে সরকার। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, অন্যান্য রাজ্যের সতীর্থদের থেকে পিছিয়ে পড়ায় ইতিমধ্যেই এঁদের মধ্যে যথেষ্ট ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কারণ প্রথম পোস্টিং দেরিতে পাওয়ার ফলে কর্মজীবনের উন্নতি গতি হারাতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা। পাশাপাশি প্রশাসনের একাংশের আশঙ্কা, এ ধরনের ঘটনার ফলে ‘বেঙ্গল ক্যাডারে’ যোগ দেওয়ার আগ্রহ কমে আসতে পারে।
২০১৪ ব্যাচের আট জন আইএএস অপেক্ষা শেষে এসডিও পোস্টিং পেয়েছেন গত বছর। ২০১৬ ব্যাচের জনা ১৪ অফিসার মুসৌরি গিয়েছেন তাঁদের দ্বিতীয় দফার প্রশিক্ষণ নিতে। ২০১৭ ব্যাচের ১৩ জন আইএএস সদ্য এসেছেন রাজ্যে। তাঁদের প্রশিক্ষণ চলছে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে।
প্রশাসনের অনেকেই মনে করছেন নতুন ব্যাচকেও অপেক্ষা করতে হতে পারে। ঘটনাচক্র হলেও মোদীর প্রশাসনে প্রশিক্ষণপ্রথা শুরুর সঙ্গে রাজ্যে এই অপেক্ষাপর্ব চালুর মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। তাঁদের কারও কারও বক্তব্য, নতুন কর্মজীবন শুরু করার আশায় উদ্দীপ্ত থাকেন নতুন আইএএস অফিসারেরা। কেন্দ্রের প্রশিক্ষণপর্বের পরেই এতটা অপেক্ষা তাঁদের উদ্দীপনায় ধাক্কা দিতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy