Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

নির্মলকে কেন ধরা হল, প্রশ্ন উঠছেই

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে তৃণমূলের হাঁসখালি ব্লক সভাপতি দুলাল বিশ্বাস খুনের ঘটনাতেও অভিযোগ দায়ের হয়েছিল নির্মলের নামে।

২০১৭ সালে তৃণমূলের হাঁসখালি ব্লক সভাপতি দুলাল বিশ্বাস খুনের ঘটনাতেও অভিযোগ দায়ের হয়েছিল নির্মলের নামে।

২০১৭ সালে তৃণমূলের হাঁসখালি ব্লক সভাপতি দুলাল বিশ্বাস খুনের ঘটনাতেও অভিযোগ দায়ের হয়েছিল নির্মলের নামে।

শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৪৫
Share: Save:

বিধায়ক খুনে বিজেপির দীর্ঘদিনের সদস্য নির্মল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ায় ফের চক্রান্তের অভিযোগ উঠল। তাঁর স্ত্রী তো বটেই, পড়শিরাও অনেকে মনে করছেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।

বিজেপির ৩৮ নম্বর জেলা পরিষদ কমিটির সভাপতি নির্মল। প্রবল বাধা সত্ত্বেও গত পঞ্চায়েত ভোটে তিনি ৩৮ নম্বর আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন। মাস সাতেক আগে পড়ে গিয়ে তাঁর ডান পা ভাঙে। এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন। ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটাচলা করতে হয়। সেই সঙ্গে ডায়বিটিসের সমস্যা আছে। আপাতত তিনি শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে তৃণমূলের হাঁসখালি ব্লক সভাপতি দুলাল বিশ্বাস খুনের ঘটনাতেও অভিযোগ দায়ের হয়েছিল নির্মলের নামে। পরিবারের দাবি, সে বার রানাঘাট আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। তিন মাস পরে জামিন পান। এ বার একই ভাবে বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনে তাঁর নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পরিবারের।

শুক্রবার নির্মলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কার্যত শোকের পরিবেশ। ভিড় করে আছেন প্রতিবেশীরা। নিমাই ঘোষ নামে তাঁদের এক জন নিজেকে তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে বলেন, “আমি তৃণমূল করি। কিন্তু তার পরেও বলব, নির্মলদা এমন কাজ করতে পারেন না।” নির্মলের স্ত্রী মল্লিকা ঘোষের দাবি, “শুধু মাত্র বিজেপি করার কারণেই মানুষটাকে বারবার ফাঁসানো হচ্ছে।” কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিঞ খুন হন ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে। মল্লিকার দাবি, পরের দিন বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ পুলিশ আসে তাঁদের বাড়িতে। নির্মলকে না পেয়ে তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে দীর্ঘ সময় বসিয়ে রেখে জেরা করে বিকেলের দিকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মহিলা পুলিশ তাঁকে এত জোরে টানাটানি করেছে যে তিনি হাতে-পায়ে চোট পেয়েছেন বলেও মল্লিকার অভিযোগ।

মল্লিকার দাবি, শনিবার রাতে ভাত খাওয়ার সময়েই নির্মল টিভির খবরে বিধায়ক খুনের ঘটনা জানতে পারেন। তার পরেই তাঁকে ফাঁসানো হতে পারে আঁচ করে তিনি চাকদহে ভাইঝির বাড়িতে গিয়ে তিনি গা ঢাকা দেন।

মল্লিকার দাবি, “গ্রামের অনেকে এসে বলল, বাড়ি ছেড়ে চলেল যেতে। কারণ এর আগে দুলাল বিশ্বাসের খুনের ঘটনাতেও তো ওকে ফাঁসানো হয়েছিল। এ বারও তা হতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কার করছিল। সেটাই সত্যি হল!” আর এক ধৃত কালিদাস মণ্ডলের পরিবারেরও অভিযোগ, কয়েক মাস আগে থেকে বিজেপি করাতেই তাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার মা মঞ্জু মণ্ডল দাবি করেন, ‘‘আমার ছেলে নির্দোষ। চক্রান্ত করে তাকে গ্রেফতার করা হল।” কাসিদাসের নাম অবশ্য অভিযোগে ছিল। পুলিশের দাবি, তদন্তে যেমনটা উঠে আসছে সেই মতোই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE