—ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ দু’বছর রাজ্যে কলেজ-ভোট হচ্ছে না। এ বার কলেজের ছাত্র সংসদের ভোট করার ভাবনাচিন্তা শুরু করল শাসক শিবির রাজ্য সরকার।
শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলের ছাত্র সংগঠনকে নিয়ে কিছুদিনের মধ্যে আলোচনায় বসতে চান। পার্থবাবুর বক্তব্য, ‘‘ভোট নিয়ে ছাত্র সংগঠনের কী মতামত, তা জানতে চাইব। কোন কলেজে সংগঠনের কী অবস্থা জানব ছাত্র নেতাদের কাছ থেকে। অনেক দিন ভোট হয়নি কলেজে। ভোটটা করাতে হবে এ বার।’’
ভোট দ্রুত হোক, চায় তৃণমূলের ছাত্র পরিষদও (টিএমসিপি)। রাজ্যের সাড়ে পাঁচশো কলেজের সিংহভাগই টিএমসিপির দখলে। কিন্তু রাজ্যে পঞ্চায়েত এবং তার পরে লোকসভা ভোটে গেরুয়া-হাওয়া বাড়ায় কিছু কলেজে বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-র প্রভাব বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ভোট করলে ফলাফল কী হবে, তা নিয়ে কিছুটা হলেও সংশয়ে রয়েছে টিএমসিপি। তার উপরে দীর্ঘদিন টিএমসিপি-র কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও চোখে পড়ে না কলেজগুলিতে। যদিও টিএমসিপি-র রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ভোট হলে টিএমসিপি-ই জিতবে। কয়েকটি কলেজে সংগঠনের পতাকা এবিভিপি লাগিয়েছে ঠিকই, কিন্তু কলেজগুলিতে ওদের কোনও অস্তিত্ব নেই।’’ তৃণাঙ্কুর বোঝানোর চেষ্টা করেন, ‘‘এখন কলেজে ছ’মাস অন্তর পরীক্ষা। ফলে পড়ুয়ারা ভোটের আগে-পরে সংগঠনের কাজে মন দিতে পারেন না। গত দু’মাস ধরে কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। ফলে সংগঠনের কাজে কিছুটা ঢিলেমি চলছে। তবে সব কলেজে আমরা তৈরি।’’
কবে ছাত্র-ভোট হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে আগামী বছর পুরভোটের আগে কলেজের ভোট করার সম্ভাবনা অনেকটাই কম বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। কেননা, ছাত্র ভোট ঘিরে রাজ্যে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে বলে শাসক শিবিরের আশঙ্কা রয়েছে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy