বিজেপি রাজনীতি বন্ধ করছে না বলেই অভিযোগ মমতার। —ফাইল চিত্র।
নির্বাচনের দোরগোড়ায় কাশ্মীরে হামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার সময় ও প্রেক্ষিতকে মনে করিয়ে তাঁর প্রশ্ন, গোয়েন্দা তথ্য হাতে থাকার পরেও কেন ব্যবস্থা নেয়নি কেন্দ্র? কেনই বা নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিধিগুলি এড়িয়ে যাওয়া হল? এর পিছনে দায় কার, তা খুঁজে বের করতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি করেছেন তিনি।
সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিজেপি আরএসএস, বিশ্বহিন্দু পরিষদ ছাড়া সবাই পাকপ্রেমী? এমন ভাষণ দিচ্ছেন, যাতে মনে হচ্ছে, তাঁরা একমাত্র দেশপ্রেমী, বাদ বাকি সব বিদেশি-উগ্রপন্থী! তুমি পাককে করতে দিলে কী করে?’’ তার পরেই তিনি বলেন, ‘‘যখন নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে, তখন তোমার মনে হল দেশে একটা যুদ্ধ বাধানো দরকার আর একবার! পাঁচ দিন কিছু বলিনি।’’
মুখ্যমন্ত্রী জানান, সঙ্কটের মুহূর্তে বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে কিছুই বলছে না। কিন্তু বিজেপি রাজনীতি বন্ধ করছে না বলেই তাঁর অভিযোগ। মমতা বলেন, ‘‘অসমের মিটিংয়ে অমিত শাহ কী বলেছেন? পুরো রাজনৈতিক ভাষণ! নরেন্দ্র মোদীও রাজনৈতিক ভাষণ দিয়েছেন! এত বড় ঘটনা ঘটার পর দায়িত্ব মাথায় নিয়ে পদত্যাগ না করে, দায়িত্ব পালন না করে রাজনৈতিক বক্তৃতা দিয়ে বেড়ান!’’ আজ কংগ্রেসও দিল্লিতে জানিয়েছে, পুলওয়ামার ঘটনা নিয়ে রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না।
এ দিন কেন্দ্রে নিজের কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘‘এত জন জওয়ানকে মেরে দেওয়া হয়েছে, তার পিছনে দুর্বলতা, গাফিলতি, অবহেলা রয়েছে। কেন আড়াই হাজার জওয়ানকে ৭৮টা কনভয়ে এক সঙ্গে যেতে দেওয়া হল? যখন সরকারের কাছে খবর ছিল হামলা হতে পারে! কেন বিমানে বা রেলে নিয়ে যাওয়া হল না? এত টাকা এত দিকে খরচ হয়, প্রচার করতে কত টাকা খরচ করা হয়? আমি কেন্দ্রে কাজ করে এসেছি। সবটাই জানি।’’
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, কাশ্মীরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশে গোলমাল বাধানোর চেষ্টা চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি, সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। মমতা বলেন, ‘‘দেশের সকল নাগরিককে অনুরোধ করব, যে কোনও প্রান্তে, যে কোনও রাজ্যে যে কোনও নাগরিকের থাকার অধিকার রয়েছে। দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে। এটা একটা গেমপ্ল্যান। এই অপপ্রচারে যেন পা না দিই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy