বারো বছরের একটি মেয়েকে ধর্ষণের পরে সুন্দরবনের কুমিরমারির এক নেতা সালিশি সভা বসিয়ে নিজেকে ‘নির্দোষ’ প্রমাণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আরও অভিযোগ, সেই সভায় মেয়েটির বাবাকে মারধর করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না-নেওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বাবা।
বাবার আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায়চৌধুরী জানান, তাঁর মক্কেল পেশায় দিনমজুর। ৯ এপ্রিল দুপুরে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী বাইরে যান। সেই সুযোগে এলাকার নেতা তাঁদের বাড়িতে ঢুকে মেয়েকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। থানায় গেলে ‘সাজানো ঘটনা’ বলে জেনারেল ডায়েরি করে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। তিনি প্রতিবেশী এবং নেতার পরিচিত কয়েক জনের কাছে গেলে তাঁকে আশ্বাস দেওয়া হয়, পঞ্চয়েত ভোট মিটে গেলে নেতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ, ৩ জুন স্থানীয় পঞ্চায়েতের লোকজন ও নেতার সঙ্গীরা সালিশি সভা ডাকেন। অভিযুক্ত নেতাও সেই সভায় ছিলেন। সভার উদ্যোক্তারা নেতাকে ‘নির্দোষ’ ঘোষণা করেন। তার প্রতিবাদ জানানোয় ধর্ষিতার বাবাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তিনি মেয়ে-বৌকে নিয়ে বাড়ি ছাড়েন। বারুইপুরের পুলিশ সুপারকে চিঠি লেখেন তিনি। তার পরেও বাড়ি ফিরতে না-পেরে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy