—ফাইল চিত্র।
রাজ্যের ১০৭ জন বিধায়ক বিজেপিতে যেতে তৈরি বলে মুকুল রায় যে তালিকা দেখাচ্ছেন, তা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ শুরু হয়েছে রাজ্য বিজেপির অন্দরেই।
‘আদি’ বিজেপি শিবিরের একাধিক নেতার বক্তব্য, মুকুলবাবু টিকিটের ‘লোভ’ দেখিয়ে অন্য দল ভাঙাচ্ছেন। ফলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দল বদলুদের টিকিট পাইয়ে দিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে দরবার করবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ‘আদি’ নেতারা। নিজেদের অসন্তোষ ইতিমধ্যেই তাঁরা পৌঁছে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কানে।
দলীয় সূত্রের খবর, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ রাজ্যের কোনও কোনও নেতাকে বলেছেন, জেলা বেছে নিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে। প্রার্থী তালিকা তৈরির সময় তাঁদের চাহিদাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। ‘আদি’ নেতাদের বক্তব্য, এ হেন পরিস্থিতিতে মুকুলবাবু যে ভাবে দল ভাঙাচ্ছেন, তাতে পুরো ব্যবস্থাটিই ঘেঁটে যাবে। উদাহরণ হিসেবে লোকসভা নির্বাচনের কথাও তাঁরা বলছেন।
লোকসভা নির্বাচনের আগেও বেশ কিছু নেতাকে দলে এনেছিলেন মুকুলবাবু। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে তাঁদের সকলকে তিনি টিকিট পাইয়ে দিতে পারেননি। রাজ্যের প্রার্থী নির্বাচন করেছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যা নিয়ে সে সময় যথেষ্ট জলঘোলাও হয়েছিল। বিজেপির একাংশের বক্তব্য, বিধানসভা নির্বাচন আরও বড় বিষয়। ফের প্রার্থী নিয়ে ধন্দ তৈরি হলে বিজেপির হোঁচট খাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে।
মুকুল-শিবিরের অবশ্য বক্তব্য, দল বাড়াতে গেলে দল ভাঙাতেই হবে। মুকুলবাবু সে কাজটিই করছেন। যদিও ইতিমধ্যেই যে প্রক্রিয়ায় মুকুলবাবু দল ভাঙাচ্ছিলেন, তাতে হস্তক্ষেপ করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তৈরি করা হয়েছে একটি সিলেকশন কমিটি। তাদের না জানিয়ে মুকুলবাবু কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না বলে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য বলেন, ‘‘বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি হিসাবে কেন্দ্র ধরে ধরে জনসংযোগ করার কথা বলা হয়েছে নামি নেতাদের। কিন্তু সেখানে নতুন, পুরনো ভাগাভাগি নেই। সেই তালিকায় দলের পুরনো এবং নবাগত— সব রকম নেতাই আছেন। জিততে পারবেন কি না, সেটাই একমাত্র বিবেচ্য। নতুন না পুরনো— তা বিবেচ্য নয়।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy