Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

বাগডোগরায় বিনামূল্যে জমি দেবে না রাজ্য

রাজ্য সরকারের কাছে ৯০ একর জমির অনুরোধ অনেক আগেই করেছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রশাসন সূত্রের খবর, বিনামূল্যে ওই জমি চাইছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

বাগডোগরা বিমানবন্দর।

বাগডোগরা বিমানবন্দর।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৮ ০৪:৫৩
Share: Save:

বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের জন্য জমি জোগাড় করে দিলেও বিনা পয়সায় তা দিতে চায় না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ফলে প্রকল্পে বাধা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসনের একাংশ।

ওই সম্প্রসারণের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে ৯০ একর জমির অনুরোধ অনেক আগেই করেছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রশাসন সূত্রের খবর, বিনামূল্যে ওই জমি চাইছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতে নারাজ রাজ্য সরকার।

রাজ্যের সিদ্ধান্ত, সম্প্রসারণের জন্য বাগডোগরা বিমানবন্দর লাগোয়া লিজে থাকা একটি চা বাগানের জমি ফিরিয়ে নেওয়া হবে। তবে তার জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে চা বাগান মালিককে। পাশাপাশি, গোটা জমিতে থাকা চা-গাছের পরিমাণ, বড় গাছের সংখ্যা-সহ গোটা পরিকাঠামোর আর্থিক মূল্যও ক্ষতিপূরণ হিসাবে দিতে হবে বাগান মালিককে। জমির জন্য পৃথক মূল্য দাবি না করলেও রাজ্য চাইছে, এই ক্ষতিপূরণের অর্থ দিন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, সম্প্রতি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান গুরুপ্রসাদ মহাপাত্রের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘দেশের যেখানেই নতুন বিমানবন্দর তৈরি বা সম্প্রসারণ হচ্ছে, সেখানে রাজ্য সরকারই প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করে তুলে দিচ্ছে আমাদের হাতে। সারা দেশে এমন বহু জমি আমাদের হাতে আসছে। বিমানবন্দর তৈরি বা সম্প্রসারণ হলে তা রাজ্যেরই পরিকাঠামো
উন্নয়নের কাজে লাগবে। নীতিগত ভাবে আমরা কোথাও টাকা দিয়ে জমি কিনে সম্প্রসারণ করি না। এ কথা পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ কিন্তু রাজ্য তো ক্ষতিপূরণের অর্থের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছে। চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘সেই প্রস্তাব পাইনি। বিদেশে আছি। দেশে ফিরে প্রস্তাব হাতে পেলে আলোচনা হবে।’’

সাধারণত বছরে সাড়ে সাত লক্ষ যাত্রীর জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো রয়েছে বাগডোগরা বিমানবন্দরে। তবে গত অর্থবর্ষে বিমানবন্দরে যাত্রীর সংখ্যা ছিল সাড়ে ২২ লক্ষ। বর্তমানে দিনে ৫৬টি উড়ান সেখানে ওঠানামা করে। বিমানবন্দরে ৫০০ জনের বসার আসন রয়েছে, যা আড়াইটি বিমানের যাত্রীর সমতুল।অথচ কখনও কখনও ঘণ্টায় সাতটা বিমান ওঠানামা করে। ফলে প্রবল চাপ পড়ে বিমানবন্দর পরিকাঠামোর উপর। তাই অবিলম্বে নতুন টার্মিনাল বা তার সম্প্রসারণ প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

State Government Bagdogra Airport Mamata Banerjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE