প্রতীকী ছবি।
অবরোধ, বিক্ষোভ তো নয়ই, কলেজে হাজিরার প্রশ্নে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোনও ভূমিকাই থাকবে না। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে জেলায় জেলায় এই বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বিতর্ক এড়াতে কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্যও নির্দেশিকা দেওয়া শুরু করেছেন সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্ব। শিক্ষামন্ত্রী তথা দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘ছাত্র সংগঠন নিজের কাজ করবে। তাদের খেয়াল রাখতে হবে, সরকারের শিক্ষা প্রসারের ভাবনা যেন বাধা না পায়।’’
শাসক হিসাবে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে থাকলেও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনেই চলতে হবে। দলের তরফে ছাত্র সংগঠনের কাছে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন কলেজে হাজিরা না থাকা সত্বেও পরীক্ষায় বসার দাবিতে যে অশান্তি হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই সংগঠনের রাশ টানা শুরু করলেন দলীয় নেতৃত্ব। ছাত্র সংগঠনের এক্তিয়ার কতটুকু, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। সেই মতোই বেশ কয়েকটি বিষয়ে জেলায় জেলায় বৈঠক করে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে দিচ্ছেন সংগঠনের নতুন সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ‘‘পরীক্ষায় বসতে গেলে নিয়ম মেনেই ক্লাস করতে হবে। এ ব্যাপারে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আলাদা কোনও মত থাকবে না। সব জেলায় এ কথা জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’
ভর্তি দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই দলের ছাত্র সংগঠন নিয়ে নাজেহাল তৃণমূল। কলেজে কলেজে ছাত্র সংসদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়েও বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে শাসকদলের ছাত্র সংগঠন। শিক্ষ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাযুজ্য নেই এমন সব অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে বিব্রত হতে হয়েছে স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রীকেও। এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজনেও ‘বেমানান’ কিছু না করার কথাই বলা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘ছাত্র সংগঠনের এই উদ্যোগ নিশ্চই ভাল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন কিছুই করা উচিত যা ছাত্রছাত্রীদের মানানসই।’’
দলের ব্রিগেড সমাবেশের প্রচারে ইতিমধ্যেই জেলার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন ছাত্র নেতারা। উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলায় এই বৈঠকে সংশ্লিষ্ট ছাত্রনেতাদের উৎসব আয়োজনের এই ‘গাইডলাইন’ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy