ফাইল চিত্র।
বিশ্বভারতীর নাট্যঘরে রবিবার ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনায় কেশবচন্দ্র সেন এবং বুধবারের ছুটি নিয়ে বক্তব্য পেশ করেছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই বক্তব্যের মধ্যে ‘বুধবার সেই অর্থে পবিত্র দিন নয়’ এবং ‘কেশবচন্দ্র সেন কিছু অসামাজিক কাজকর্ম করতেন’—এই দুই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক দেখা দেয়। বুধবার ছুটি আজকের দিনে কতটা প্রাসঙ্গিক, সে প্রসঙ্গও তোলেন উপাচার্য।
পড়ুয়াদের একাংশ সোমবার নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেন গৌর প্রাঙ্গণে। সেখানে আলোচনায় ঠিক হয়, বিশ্বভারতীতে বুধ ও বৃহস্পতিবার ছুটির পক্ষেই তাঁরা সওয়াল করবেন। বুধ ও বৃহস্পতিবার ছুটি বহাল রাখার দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপিও দেওয়া হবে বলে পড়ুয়ারা জানিয়েছেন।
বিশ্বভারতীর ছাত্র জয়দীপ সাহা, সোমনাথ সৌ বলেন, ‘‘নাট্যঘরে উপাচার্যের ওই বক্তব্যের প্রতিবাদে এবং বুধ-বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীতে ছুটি বজায় রাখার দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পোস্টার এবং প্রতিবাদ চলবে।’’
এ বিষয়ে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার জানিয়েছেন, বিশ্বভারতীতে যখন বুধবারে ছুটি আরম্ভ হয়েছিল, সেই সময় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বলে কিছু ছিল না। তাঁর বক্তব্য, ‘‘যেহেতু এখন বিশ্বভারতীতে বুধ ও বৃহস্পতিবার ছুটি এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এবং ইউজিসি-তে শনি ও রবিবার ছুটি, তাই সপ্তাহে মাত্র তিনটে দিন মন্ত্রকের সঙ্গে কাজকর্ম করার সময় থাকছে আমাদের। এতে নানা সমস্যা হচ্ছে। তা দূর করতেই শনি-রবি ছুটির পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।’’ একই সঙ্গে তিনি জানান, বুধবার ছুটি থাকায় অনেকেই সকালে মন্দিরে প্রার্থনায় আসেন না। তাতে মন্দিরও ভাল করে চালানো যাচ্ছে না। এটাও বুধ-বৃহস্পতির বদলে শনি-রবিবার ছুটি দেওয়ার ভাবনার অন্যতম কারণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy