তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল। ছবি: সামসুল হুদা।
আহলে সুন্নাতুল জামাতের কর্ণধার আব্বাস সিদ্দিকী মিথ্যা নাটক করছেন, এই অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ সভা করল তৃণমূল।
রবিবার কাঁচদিয়ায় আহলে সুন্নাতুল জামাতের কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূলের কর্মীদের বিবাদ বাধে। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এলাকায় যান পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। অভিযোগ, সেখানে তাঁর উপরে হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এর প্রতিবাদে সোমবার ভাঙড়ের ঘটকপুকুরে বাসন্তী হাইওয়ে-সহ দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলির বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান আহলে সুন্নাতুল জামাতের কর্মীরা।
তৃণমূলের অভিযোগ, আব্বাস সিদ্দিকী মিথ্যা নাটক করছেন। তারই প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে ভাঙড়ের কাঁচদিয়ায় প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা, সোনারপুরের বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম, জেলার ভাইস-চেয়ারম্যান শক্তি মণ্ডল-সহ অন্যান্যরা। উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য থানায় অভিযোগ জানানো হবে বলে এ দিন ঘোষণা করা হয় সভা থেকে। সকালে ভোজেরহাটেও প্রতিবাদ সভা ও মিছিল হয়েছে তৃণমূলের। এ দিন প্রতিবাদ সভা থেকে আব্বাস সিদ্দিকীর বিজেপি-যোগের অভিযোগ তোলে তৃণমূল। সোমবার রাস্তা অবরোধের পিছনে বিজেপির প্রত্যক্ষ মদত ছিল বলেও দাবি করা হয়।
শওকত বলেন, “ফুরফুরা শরিফের ধর্মগুরুদের আমরা শ্রদ্ধা করি। ধর্মগুরুদের কাজ হল শান্তির কথা বলা, ধর্ম প্রচার করা। তাঁদের রাজনীতির কথা বলা উচিত নয়। যদি রাজনীতি করতে হয় তা হলে সরাসরি রাজনীতির ময়দানে নামুন। মানুষের কাছে আবেদন, মিথ্যা প্ররোচনায় পা দেবেন না।” আহলে সুন্নাতুল জামাতের ভাঙড় ১ ব্লকের সম্পাদক মিন্টু শিকারি বলেন, “তৃণমূল আসল বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাইছে। আমাদের উপর আক্রমণ হয়েছে। প্রশাসন নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
আব্বাস সিদ্দিকী এ দিন ফুরফুরায় তাঁর বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁর উপর শাসকদলের হামলার ঘটনার নিন্দা করেন। সোমবার অবরোধ তুলতে গেলে হুগলির চণ্ডীতলায় অহল্যাবাই রোডে পুলিশকে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় চণ্ডীতলার ওসি সুদীপ্ত সাঁধুখা জখম হন। তাঁর পা ভেঙে যায়। আরও ছয় পুলিশকর্মী জখম হন। পিরজাদা অবশ্য বলেন, ‘‘আমাদের সংগঠনের কেউ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy