সচেতনতা: বাল্য বিবাহ রুখতে বহরমপুরে ছাত্রীদের সঙ্গে পথে মন্ত্রী শশী পাঁজা। নিজস্ব চিত্র
কিশোরীদের অপুষ্টি দূর করে তাদের স্বনির্ভর করতে বছর ছয়েক আগে রাজ্যের সাত জেলায় ‘সবলা প্রকল্প’ চালু হয়েছিল। সেই ধাঁচেই বাকি জেলাগুলিতে ‘কিশোরী শক্তি যোজনা’ নামে নতুন প্রকল্প চালু করছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার বহরমপুর সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পরে রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদ দিয়েই এই প্রকল্পের সূচনা হল। পরে বাকি জেলাগুলিতেও ধীরে ধীরে হবে।” তিনি জানান, প্রয়োজনীয় অর্থের ৬০ শতাংশ কেন্দ্র এবং ৪০ শতাংশ রাজ্য দেবে। মুর্শিদাবাদ জেলার প্রায় ১১ হাজার স্কুলছুট মেয়েও এই প্রকল্পের আওতায় আসবে।
২০১১ সালে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, মালদহ, নদিয়া, পুরুলিয়া ও কলকাতায় সবলা প্রকল্প চালু হয়। বাকি জেলাগুলিতে ১১-১৮ বছরের মেয়েদের নিয়ে চালু হবে নতুন যোজনা। মন্ত্রী জানান, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মাধ্যমে তাদের আয়রন ট্যাবলেট ও ফলিক অ্যাসিড দেওয়া হবে। স্বনির্ভর করতে দেওয়া হবে নানা প্রশিক্ষণ। স্কুলছুটদের স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে।
দুপুরে বহরমপুরের বানজেটিয়া ও ধোপঘাটিতে দু’টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। বানজেটিয়ায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ মন্ত্রীর নজরে পড়ে। তিনি তা ফেলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তাঁর কথায়, “আমরা নানা রকম ওষুধ পাঠাই। কিছু ওষুধ কম লাগে, সেগুলিই পড়ে থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়।” দু’টি কেন্দ্রেই পড়ুয়াদের কাছে পড়াশোনার খোঁজখবর নেন তিনি। চাল, ডাল ও অন্য সামগ্রীর নমুনাও সংগ্রহ করেন।
দুপুরে সার্কিট হাউসে হোম ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী। পরে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এ বারে নিজস্ব বাড়িতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চলবে। তার জন্য জেলাশাসকদের জমি চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য জমি কেনা যায় না। সরকারি বা দান করা জমিতে বাড়ি নির্মাণ করতে হবে।” ২০১১ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২৮ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নতুন বাড়ি হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy