—ফাইল চিত্র।
প্রজাতন্ত্র দিবসে পতাকা উত্তোলনের সময় উপাচার্যের বক্তৃতার ভিডিয়ো ছড়ানোর অভিযোগে পূর্বপল্লী সিনিয়র বয়েজ় হস্টেলের এক আবাসিক ছাত্রকে হস্টেল থেকে বহিষ্কার করেছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই ‘অপরাধে’ কোনও ছাত্রকে এ ভাবে বহিষ্কার করা যায় কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
বুধবার বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার বলেন, ‘‘এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। একই পদ্ধতিতে এর আগেও শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধে একাধিক ছাত্রকে হস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’’ তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এ ক্ষেত্রে ওই ছাত্র কোন ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন। অনির্বাণবাবুর দাবি, ‘‘ভিডিয়োর অংশবিশেষ ওই ছাত্র ছড়িয়েছে। এর ফলে উপাচার্যের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করা হয়েছে। অথচ পুরো ভিডিয়ো ছড়ালে মানুষের মধ্যে একটি ইতিবাচক ভাব তৈরি হতে পারত। এটা শৃঙ্খলাভঙ্গেরই শামিল।’’
মঙ্গলবার ওই ছাত্রটি অবশ্য দাবি করেছিলেন, তিনি কোনও ‘অসৎ উদ্দেশ্য’ নিয়ে ভিডিয়ো করেননি। অংশ-বিশেষ ছড়ানওনি। উপাচার্যের তাঁদের হস্টেলে এসে পতাকা উত্তোলন করার স্মৃতি রেখে দিতেই ভিডিয়ো তোলেন। এর পরে আর এক ছাত্র তাঁর কাছ থেকে ভিডিয়োটি চান। ‘‘এর পরেও কেন আমাকে হস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হল বুঝতে পারছি না।’’—প্রশ্ন তুলেছিলেন ওই ছাত্র।
আরও পড়ুন: বক্তৃতার বাইরে ধনখড়ের কথা নথিতে যাবে না
এই প্রসঙ্গে অনির্বাণবাবু বলেন, ‘‘ভিডিয়ো করাটা অপরাধ নয়। কিন্তু লুকিয়ে লুকিয়ে ভিডিয়ো করা অন্যায়। সেই ছবি আমাদের হস্টেলের সিসিটিভি ফুটেজও পাওয়া গিয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক, কর্মী, বন্ধু সকলকে আমরা বলতে চাই— বিশ্বভারতীকে কলুষিত করার যে চেষ্টা চলছে, তা আমরা হতে দেব না।’’ ওই ছাত্রকে পুনরায় হস্টেলে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই বিশ্বভারতী সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy