Advertisement
০৭ মে ২০২৪
ICSE

আইসিএসই-র বাকি পরীক্ষা ঐচ্ছিক, বাড়ল কি চাপ?

আইসিএসই বোর্ডের সচিব জেরি অ্যারাথুন সোমবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান, করোনা পরিস্থিতিতে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বাকি পরীক্ষা দেবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত পরীক্ষার্থীদের উপরে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২০ ০২:৫২
Share: Save:

বোর্ডের বাকি পরীক্ষা দেবে কি না, সেটা পরীক্ষার্থীদের উপরে ছেড়ে দিয়েছে আইসিএসই। করোনা আবহে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন ওই বোর্ডের অধীন বেশ কিছু স্কুলের অধ্যক্ষেরা। তবে কেউ কেউ জানাচ্ছেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার এসে পড়ায় নানান দ্বিধাদ্বন্দ্ব থেকে ছাত্রছাত্রীদের উপরে মানসিক চাপও তৈরি হতে পারে।

আইসিএসই বোর্ডের সচিব জেরি অ্যারাথুন সোমবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান, করোনা পরিস্থিতিতে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বাকি পরীক্ষা দেবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত পরীক্ষার্থীদের উপরে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। কেউ বাকি পরীক্ষা দিতে না-চাইলে স্কুলের প্রি-বোর্ড পরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তার প্রাপ্ত নম্বরই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

রামমোহন হাইস্কুলের অধ্যক্ষ সুজয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘আইসিএসই বোর্ডের স্কুল রয়েছে সারা দেশে। বিভিন্ন রাজ্যে করোনা-পরিস্থিতি বিভিন্ন রকম। সব দিক বিবেচনা করে বোর্ড খুব দায়িত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল।’’ পার্ক সার্কাসের ডন বস্কো স্কুলের অধ্যক্ষ ফাদার বিকাশ মণ্ডলের কথায়, ‘‘বোর্ডের বাকি পরীক্ষা ঐচ্ছিক করে দেওয়াটা খুব ভাল সিদ্ধান্ত। অনেক পরীক্ষার্থী জানতে চাইছে, কী করা যায়। আমি অবশ্য মনে করি, করোনা পরিস্থিতি মোটের উপরে ঠিক থাকলে পরীক্ষা দেওয়াই উচিত।’’

তবে মডার্ন হাইস্কুল ফর গার্লসের তরফে দেবী কর জানান, বোর্ডের সিদ্ধান্ত ভাল। কিন্তু কী করা উচিত, সেই বিষয়ে পরীক্ষার্থীদের অনেকে দ্বিধায় থাকতে পারে। অনেকে মনে করতে পারে, প্রি-বোর্ডে ভাল পরীক্ষা হয়নি। আরও ভাল প্রস্তুতি চালিয়ে বোর্ডের পরীক্ষা দেওয়া যেতে পারত। করোনার স্বাস্থ্যবিধির কথা ভেবে পরীক্ষা দিতে ভয়ও পাচ্ছে অনেকে। ‘‘আমার মতে, নিজের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা সবার আগে,’’ বলেন দেবী কর।

ন্যাশনাল ইংলিশ স্কুলের অধ্যক্ষা মৌসুমী সাহা বলেন, ‘‘বোর্ড ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কেউ কেউ দ্বিধাগ্রস্ত। অনেক পরীক্ষার্থীই জিজ্ঞাসা করেছে, কী করা যায়।’’ হেরিটেজ স্কুলের অধ্যক্ষ সীমা সপ্রু বলেন, ‘‘বোর্ডের এই পরীক্ষাগুলোর সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীরাও জড়িত। তাঁদের সুরক্ষার বিষয়টিও ভাবা দরকার।’’ আইসিএসই বোর্ডের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সিবিএসই বোর্ডের অধীন স্কুলের কয়েক জন অধ্যক্ষও। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, সিবিএসই বোর্ড এখনও কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি।

এ দিকে, উচ্চ মাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষা স্থগিত রেখে বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়নের প্রস্তাব দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE